শেষ আপডেট: 17th March 2025 12:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বদনাম কি কুড়োতে চলেছেন পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান? সোমবার অমৃতসর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দুদিন আগেই একটি মন্দিরে বোমা ছুড়ে পালানো দুষ্কৃতী। যদিও তার আর এক সঙ্গী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। মৃতের নাম গুরসিডক সিড়কি। তার বাড়ি অমৃতসরের বল গ্রামে। রাজাসানসি এলাকায় একটি মন্দিরে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল গুরসিডক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরের দিকে খানাতল্লাশির সময় থানার ইনচার্ড ছেহর্তা একটি মোটর সাইকেলকে থামতে বলেন। কিন্তু বাইক আরোহী তিনজন সেই নির্দেশ অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। তারা বাইক ফেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যেতে চায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের একটি গুলি এসে লাগে হেড কনস্টেবল গুরপ্রিত সিংয়ের বাঁ হাতে। ইন্সপেক্টর আমোলক সিংয়ের পাগড়িতে এসে লাগে আরেকটি গুলি।
এলোপাথাড়ি ছোড়া একটি গুলি পুলিশের গাড়িতে লাগার পর ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমার আত্মরক্ষার্থে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতে জখম হয় গুরসিডক। আরেকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জখম কনস্টেবল গুরপ্রিত সিং ও গুরসিডককে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। হেড কনস্টেবলের চিকিৎসা চলছে। এয়ারপোর্ট থানায় এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীর মৃত্যু নিয়ে আম আদমি পার্টির সরকারের পুলিশ যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরাসরি দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি এবং একের পর এক এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে আম আদমি পার্টি সহ কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিকে তুলোধনা করেছিলেন। যোগী প্রশাসনের বুলডোজার অ্যাকশনও বিরোধীদের সমালোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এবার খোদ অপারেশন ব্লু স্টারের শহরে ফের এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে কাঠগড়ায় উঠেছে ভগবন্ত মান সরকার।
উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ মধ্যরাতে ঠাকুরদ্বারা মন্দিরে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ঘটনায় কারও মৃত্যু না হলেও স্বাভাবিকাভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দুই বাইক আরোহী মন্দিরের সামনে এসে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ায়। তারপরই গ্রেনেড ছুড়ে চলে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরই হয় বিস্ফোরণ। ওই দুই যুবকের কাছে একটি পতাকাও ছিল বলে সিসি ক্যামেরায় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার দাবি করেছিলেন, বারবার এমন ধরনের ঘটনায় পাকিস্তানের যোগ মেলে। এবারও তাই হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কোথা থেকে ওই গ্রেনেড এল, আদতে কটা বোমা রয়েছে দুষ্কৃতীদের কাছে, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, তা জানতে তৎপর পুলিশ। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছিলেন, পাকিস্তান হামেশাই ড্রোন ঢুকিয়ে দেয় ভারতের আকাশে। মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। তাই এক্ষেত্রেও যে পাকিস্তানের হাত থাকতে পারে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।