শেষ আপডেট: 6th December 2023 18:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বিতাড়িতদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বুধবার লোকসভায় এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়। বিরোধীরা অবশ্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করে অধিবেশন বয়কট করে।
তার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন। বিলের উপর বিতর্কে তিনি ফের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সমালোচনা করেন। শাহ বলেন, কাশ্মীরের পুরোটাই আজ ভারতের দখলে থাকত। নেহরুজি দুটি ভুল করেছিলেন। এক. তিনি যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। দুই. কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলোচনায় রাজি হন।
নেহরুর বিরুদ্ধে শাহের এই বক্তব্য নতুন নয়। অতীতে তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন চিন নীতি নিয়েও।
অন্যদিকে, জম্মু কাশ্মীর নিয়ে বিরোধীরা বিগত কয়েক মাস ধরে দাবি করে আসছে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে বিধানসভা নির্বাচন করা হোক। বুধবার লোকসভাতেও একাধিক সদস্য এই দাবিতে সরব হন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর ৫ অগস্ট থেকে জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা নেই। ওই দিন বিধানসভা ভেঙে দেয় কেন্দ্র। তার আগে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্র শাসিত রাজ্য করা হয়। জম্মু কাশ্মীরেরও রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়।
অমিত শাহ বুধবার বলেন, সরকারের লক্ষ্য জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি সন্ত্রাস মুক্ত করা। ২০২৬-এর মধ্যে উপত্যকাকে জঙ্গি মুক্ত করা হবে। জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি ২০২৬ এর আগে উপত্যকায় ভোট হবে না? এই প্রশ্নের জবাব অমিত শাহের কথায় মেলেনি। তবে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।