দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় আলাদা করে কাউকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, ডিএনএ পরীক্ষা থেকেই জানা যাবে প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা।
ছবি- সংগৃহিত
শেষ আপডেট: 13 June 2025 02:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১২ জুন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash) নিয়ে শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। সরেজমিনে সবটা ঘুরে দেখেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভেঙে পড়ার পর বিমানে থাকা বিপুল পরিমাণ জ্বালানি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠায় কোনও যাত্রীকে বাঁচানোর সুযোগই ছিল না।
তাঁর কথায়, ‘বিমানে প্রায় ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি ছিল। তাপমাত্রা ছিল ভয়াবহ রকমের বেশি। ফলে কাউকে বাঁচানোর কোনও সুযোগই ছিল না।’
দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় আলাদা করে কাউকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, ডিএনএ পরীক্ষা থেকেই জানা যাবে প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা।
অমিত শাহ জানান, ‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মৃতদের আত্মীয়দের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ১,০০০-এর বেশি পরীক্ষা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ফরেনসিক ল্যাব একসঙ্গে কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে থাকা যাত্রীদের পরিবারগুলিকেও ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, তাঁদের নমুনাও যত দ্রুত সম্ভব সংগ্রহ করা হবে।’
তবে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মাত্র একজন যাত্রী বেঁচে ফিরেছেন। তিনি ৩৮ বছর বয়সি ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিশ্বাসকুমার। তিনি বিমানের ১১A সিটে বসেছিলেন, যা একটি ‘এমার্জেন্সি এক্সিট’ দরজার ঠিক পিছনে ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি আহত রমেশের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছেন। দেশবাসীর পক্ষ থেকে, গুজরাত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকেও শোক ও সমবেদনা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘দুর্ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী, হোম ডিপার্টমেন্ট ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুম সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে ফোন করে আমাকে ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন।’
বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনাটি গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে।