শেষ আপডেট: 28th September 2024 19:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডারড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন বা সিডিএসসিও তাঁদের রিপোর্টে দাবি করেছিল প্যারাসিটামল সহ ৫০টিরও বেশি ওষুধের গুণগত মান খারাপ। কিছু কিছু ওষুধের তালিকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিল প্যান-ডি, ক্লাভাম ৬২৫। এই ওষুধের নির্মাতা সংস্থাই প্রতিক্রিয়া দিয়ে সিডিএসসিও রিপোর্টকে ভুল বলে দাবি করেছে।
গ্যাস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের ওষুধ ছাড়াও অ্যান্টি-ডায়বেটিস, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সিডিএসসিও। অ্যালকেম ছাড়াও হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক্স লিমিটেড, পিওর অ্যান্ড কিওর হেলথকেয়ার এই ওষুধগুলি তৈরি করে। তবে প্যান-ডি, ক্লাভাম ৬২৫ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা মানতে রাজি নয় অ্যালকেম।
ওষুধ সংস্থার বক্তব্য, সিডিএসসিও যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তার পর তাঁরা নিজেদের বাছাই করা নমুনার সঙ্গে তাদের সংগৃহীত নমুনার তুলনা করেছে। দুটি নমুনার কোনও মিল নেই বলে দাবি তাঁদের। যদিও গোটা বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এখানে সত্যিই প্রশ্ন উঠেছে, 'জাল' ওষুধ আদৌ কোম্পানির তরফে বানানো হয়ে থাকতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, ভুয়ো সংস্থা খুলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ওষুধ বানিয়ে তা এই সব নামী কোম্পানির নামে ছাড়তে পারে বাজারে। কারণ এই ধরনের ঘটনার খবর সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই।
সম্প্রতি জানা গেছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল্যাবরেটরিতে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের বিষাক্ত মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হচ্ছিল 'অ্যান্টিবায়োটিক'! তারপর সেই ‘ওষুধ’ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে। এইসব জায়গার সরকারি হাসপাতালে তা ব্যবহার করাও হচ্ছিল। হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়েই এই ওষুধ ব্যবহারের 'পারমিট' নিয়ে নিত অসাধু চক্রের সঙ্গে যুক্তরা।