শেষ আপডেট: 31st January 2025 14:45
রিয়া দাস, প্রয়াগরাজ
হাসিমারার বাসিন্দা শুক্লা দেবনাথ। বুধবার রাত ২টো নাগাদ পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয় মহাকুম্ভে। সেখানেই ছিলেন এই যুবতী। ঘটনাস্থলে প্রায় ২০ জন পুণ্যার্থী পড়ে যান তাঁর উপর। কীভাবে বেঁচে গেছেন, জানেন না নিজেই। তবে কিছুক্ষণের জন্য সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন। মৌনি অমাবস্যার তিথিতে স্নান করতে গিয়ে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাই শোনালেন শুক্লা।
এখনও প্রয়াগরাজ দুর্ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুরোপুরি। সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। ফের যাতে এমন কোনও দুর্ঘটনা না হয় তার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে প্রচার চলছে। কিন্তু দুর্ঘটনার রাতে সেখানে যাঁরা ছিলেন এবং বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গেছেন তাঁরা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অখুশি। শুক্লাও তার ব্যতিক্রম নয়।
বলছিলেন, "সবে স্নান সেরে উঠেছি তখন। কাপড়জামা পাল্টানোর ভাল কোনও ব্যবস্থা ছিল না। হঠাৎই মেলার মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। দেখতে দেখতে পড়ে গেলাম আমিও। গায়ের উপর অন্তত ২০ জন। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপরে দেখলাম বেঁচে গেছি। কী করে বাঁচলাম জানি না।"
দুর্ঘটনার পরের অভিজ্ঞতাও ভাল নয়। খাবার ও জল নিয়ে কালোবাজারিরও অভিযোগ তুলেছেন শুক্লা। বললেন,"দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে অনেকেই কালোবাজারি করছে। একটা জলের বোতল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। শুধু ভাত-ডাল ৭০ থেকে ১০০ টাকা। কেউ দেখার নেই।" ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে হাঁটুতে চোট পেয়েছেন শুক্লা। মাথার পেছনে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। এখন বাড়ি ফেরার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালাচ্ছেন।