মুকেশ আম্বানি
শেষ আপডেট: 2 March 2025 09:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতিষ্ঠা, পরম্পরা, অনুশাসন।
‘মহাব্বতে’ ছায়াছবিতে গুরুকুলের প্রধান নারায়ণ শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করা অমিতাভ বচ্চনের বিখ্যাত সংলাপ। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত আকাশ আম্বানির (Akash Ambani) কথাতেও সাফল্যের রসায়ন হিসেবে যেন উঠে এল একই সুর।
জিও-র প্রতিষ্ঠাতা, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ছেলে আকাশ। যিনি নিজে রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের (Reliance Jio Infocom) চেয়ারম্যানও বটে। সম্প্রতি মুম্বই টেক উইকে (Mumbai Tech Week) বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে আকাশ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সঞ্চালক হরিশ জৈনের সঙ্গে কথোপকথনে তাঁর ব্যবসায়িক দুনিয়ার রোলমডেল এবং আম্বানি পরিবারের পারিবারিক অন্দরমহলের নানান টুকরো কথা তুলে ধরেন তিনি।
আকাশের কথায়, তাঁর জীবনের আদর্শ বাবা মুকেশ আম্বানি। সেই সঙ্গে গোটা পরিবারও। ৩২ বছর একই ছাদের তলায় দিন কেটেছে তাঁদের এবং কোনওদিন বাবা-মায়ের থেকে অনুপ্রেরণার এতটুকু কমতি হয়নি। অকপট বক্তব্য আকাশের।
আর এই সূত্রে বাবার কাজের ধরন আর নিয়মানুবর্তিতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। দিনে কখন, কীভাবে কাজ করেন মুকেশ?এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আকাশ বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বাবা নিজের হাতে সমস্ত ইমেলের জবাব দেন। এই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে চার দশক হয়ে গেল। অথচ এখনও রাত ২টো পর্যন্ত জেগে বাবা তাঁর যাবতীয় কাজ সেরে ফেলেন। আর এটা দেখেই আমি অনুপ্রেরণা পাই।‘
কিন্তু শুধু মুকেশ নন। মা নীতাকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন আকাশ। বাবা যদি হন কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মনিষ্ঠার পরাকাষ্ঠা, তাহলে মা খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রেখে চলার প্রেরণা জোগান। কীভাবে? খোলসা করতে গিয়ে আকাশ বলেন, ‘যেমন ধরুন আমরা সবাই বসে টিভিতে বসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছি। মাও দেখছে। অথচ এরই মধ্যে ছোটখাট অনেক বিষয় মায়ের নজরে আসবে, যেগুলো আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আর এটা দেখেই আমি প্রাণিত হই।‘
পারিবারিক আদর্শ আর কর্মসংস্কৃতিই যে তাঁকে নতুন পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই আকাশের। কিন্তু নিজে কতক্ষণ কাজ করা পছন্দ করেন? বাবার মতো রাত জেগে ২টো পর্যন্ত? নাকি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টার স্লটে স্বচ্ছন্দ তিনি? ইতিমধ্যে সংস্থার কর্মীদের কাজের সময় নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান মত উঠতে শুরু করেছে। ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তি সম্প্রতি দিনে ১৪ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সাওয়াল করে বিতর্কের প্যান্ডোরা বক্স খুলে দিয়েছেন।
আকাশ আম্বানি যদিও এই নিয়ে নতুন কোনও তত্ত্ব তৈরিতে নারাজ। বাকিদের জন্য সময় বাঁধাবাঁধির রাস্তায় তিনি নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর দৈনিক কাজের সময়সীমা ১২ ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়। এটুকু বলেই সাঁটে যা বলার বলে ফেলেছেন মুকেশ-পুত্র।