শেষ আপডেট: 25th September 2024 09:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আসছে নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ভোট। নির্বাচন যখন দোরগোড়ায় তখন রাজ্যের শাসক জোটে অজিত পাওয়ারের এনসিপি-র সঙ্গে বাকি দুই শরিক বিজেপি ও শিবসেনার দূরত্ব দ্রুত বাড়ছে। তাতে নয়া মাত্রা যোগ করেছে সরকারি জমি বণ্টনের একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে।
মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত বাওবানকুলের ট্রাস্ট শ্রী মহালক্ষ্মী জগদম্বার নামে রাজ্যের ভূমি দফতর নাগপুরে ১৮ একর সরকারি জমি বরাদ্দ করেছিল। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভূমি দফতরের পেশ করা মন্ত্রিসভার প্রস্তাব খারিজ করে পাল্টা নোট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। অর্থ বিভাগ বলে, ওই ট্রাস্টের কাজকর্মের সঙ্গে উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই। এই বিপুল পরিমাণ জমি তাই নিখরচায় দেওয়া যাবে না।
অজিতের আপত্তির মুখে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে প্রস্তাবটি পাশ করাননি। সেটি ভূমি দফতরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ঘটনা হল, ট্রাস্টের সভাপতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত বাওবানকুলে। তাঁর সংস্থাকে নিখরচায় কয়েকশো কোটি টাকা মূল্যের জমি দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছে। বিজেপি সভাপতি এখন দাবি করছেন, ওই প্রস্তাবের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি মাত্র দু’ বছর ট্রাস্টের সভাপতি পদে আছেন।
অন্যদিকে, অজিত পাওয়ার আপত্তি তোলায় এনসিপির সঙ্গে বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার সম্পর্কের মেয়াদ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। অজিতের সঙ্গে বিগত কয়েক মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এবং বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের গোলমাল চলছে। অজিত দাবি করেছেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করুক জোট। বিজেপি ও শিবসেনার তাতে আপত্তি। এখন সবচেয়ে কম আসন হাতে থাকা শিবসেনার নেতা শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী।
অজিতের দাবি, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম মেনে নিক বাকি দুই শরিক। সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ হওয়ায় দিল্লি গিয়ে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীর কাছে দরবার করেন এনসিপি নেতা। মোদী-শাহ তাঁকে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদ নয়, অজিতের সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছে আসন সংখ্যা নিয়েও।