বিমানের সরকারি সতর্কবার্তা।
শেষ আপডেট: 6 May 2025 15:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তেই আগামী বুধবার সারা দেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা মহড়ার আয়োজন করছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এই মহড়া হতে চলেছে ৫৪ বছর পর। এই মহড়ার পার্ট হিসেবে রাজ্যগুলিকে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ ব্যবস্থা কার্যকর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই বিমান হামলার সতর্কবার্তার মহড়াও দেওয়া হবে বুধবার।
বস্তুত, শত্রু দেশের বিমান হানা দেওয়ার আশঙ্কা থাকলে আকাশপথে তাদের গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখে দেশের বায়ুসেনা। বায়ুসেনার নজরে কোনও সন্দেহজনক বিমান ধরা পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয় সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা শহরের প্রশাসনকে জানানো হয়, এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে সুরক্ষা বাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে বিমান হানা নিয়ে সজাগ করার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট সতর্কবার্তার পদ্ধতি। এইবার্তাগুলো চারটি মূল ভাগে বিভক্ত, প্রতিটির একটি নির্দিষ্ট রং ও সংকেত আছে, এবং প্রত্যেকটির উদ্দেশ্য আলাদা।
এটি একটি গোপন প্রাথমিক সতর্কবার্তা। যখন শত্রুপক্ষের আকাশপথে সক্রিয়তার প্রথম ইঙ্গিত মেলে, তখনই এটি জারি করা হয়। তবে এই সঙ্কেত সাধারণত জনসাধারণকে জানানো হয় না। মূলত নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের জন্যই এটি ব্যবহৃত হয়, যেন আগাম প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনসাধারণের জন্য সরাসরি প্রযোজ্য সতর্কবার্তা। যখন শত্রু বিমানের হামলার আশঙ্কা প্রবল হয়, তখন সাইরেন বাজিয়ে বা অন্যান্য উপায়ে জনগণকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এর অর্থ, আক্রমণ হতে পারে বা বিমান ইতিমধ্যেই ঘনিষ্ঠ এলাকায় পৌঁছে গেছে। এই সঙ্কেত পেলে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া, আলো নিভিয়ে রাখা বা নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এটি সেই সঙ্কেত, যা জানায় যে বিপদ কেটে গেছে। শত্রুপক্ষের বিমান সরে গিয়েছে, আক্রমণের আশঙ্কা আর নেই। তবে প্রশাসনিক পর্যায়ে সতর্কতা তখনও কিছুক্ষণ বজায় রাখা হয়, কারণ বিপদের পুনরাবৃত্তি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এই সঙ্কেত বোঝায়, যে প্রাথমিক সতর্কবার্তা ভুল ছিল। অর্থাৎ যেটিকে শত্রু বিমানের সংকেত মনে করা হয়েছিল, তা ছিল ভ্রান্ত। অথবা পরিস্থিতি এমনভাবে বদলেছে যে আক্রমণের সম্ভাবনা মুছে গেছে। এই বার্তা পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্ট বা প্রশাসনিক চ্যানেলের মাধ্যমে বাতিল সঙ্কেত হিসেবে দেওয়া হয়।
ভারতের মতো বড় ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশে এমন বার্তার একটি নির্দিষ্ট ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কাঠামো থাকা অত্যন্ত জরুরি। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই সংকেতগুলো জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।