এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরে তৈরি হওয়া নানা ত্রুটি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই এই সাময়িক পদক্ষেপ।যাত্রীদের যাতে শেষ মুহূর্তে অস্বস্তিতে না পড়তে হয়, সেই কারণেই সময়মতো আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 20 June 2025 02:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ১২ জুন আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা কমানোর এবং ৩টি রুটে সাময়িকভাবে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। বৃহস্পতিবার টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত সংস্থাটি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরে তৈরি হওয়া নানা ত্রুটি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই এই সাময়িক পদক্ষেপ। যাত্রীদের যাতে শেষ মুহূর্তে অস্বস্তিতে না পড়তে হয়, সেই কারণেই সময়মতো আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২১ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিমান পরিষেবায় বদল আনা হচ্ছে।
যে ৩টি আন্তর্জাতিক রুটে পরিষেবা পুরোপুরি স্থগিত থাকছে:
দিল্লি–নাইরোবি: সপ্তাহে ৪টি ফ্লাইট
অমৃতসর–লন্ডন (গ্যাটউইক): সপ্তাহে ৩টি
গোয়া (মোপা)–লন্ডন (গ্যাটউইক): সপ্তাহে ৩টি
যে ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে 'ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি' কমানো হচ্ছে, সেগুলি ছড়িয়ে রয়েছে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়ায়।
উত্তর আমেরিকার যে সব রুটে ফ্লাইট কমছে:
দিল্লি–টরন্টো
দিল্লি–ভ্যাঙ্কুভার
দিল্লি–সান ফ্রান্সিসকো
দিল্লি–শিকাগো
দিল্লি–ওয়াশিংটন
ইউরোপীয় রুটগুলির মধ্যে রয়েছে:
দিল্লি–লন্ডন (হিথ্রো)
বেঙ্গালুরু–লন্ডন (হিথ্রো)
অমৃতসর–বার্মিংহাম
দিল্লি–বার্মিংহাম
দিল্লি–প্যারিস
দিল্লি–মিলান
দিল্লি–কোপেনহেগেন
দিল্লি–ভিয়েনা
দিল্লি–আমস্টারডাম
অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়ার যেসব রুটে ফ্লাইট কমানো হচ্ছে:
দিল্লি–মেলবোর্ন
দিল্লি–সিডনি
দিল্লি–টোকিও (হানেদা)
দিল্লি–সিওল (ইঞ্চন)
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, "ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাসের সিদ্ধান্ত মূলত উন্নত নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু আকাশপথ বন্ধ থাকায় দীর্ঘতর সময় ধরে ফ্লাইট চালানোর প্রয়োজনীয়তা থেকেই নেওয়া হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার ফের একবার এয়ার ইন্ডিয়া এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভোগান্তির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে। সংস্থার দাবি, নিরাপত্তা এবং পরিষেবার স্থায়িত্ব বজায় রাখাই আপাতত তাদের প্রথম লক্ষ্য।