তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সকলের জন্য এক কঠিন দিন। এই মুহূর্তে আমরা যাত্রী, ক্রু এবং তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের পাশে রয়েছি।
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসন
শেষ আপডেট: 13 June 2025 02:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুজরাতের আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে (Air India Plane Crash)। বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজ চত্বরে ভেঙে পড়ে আগুনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানায়, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। ২৪২ জনই নিহত, সেকথা নিশ্চিত করেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু।
Air India-র সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসন এই দুর্ঘটনার পর একটি ভিডিও বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সকলের জন্য এক কঠিন দিন। এই মুহূর্তে আমরা যাত্রী, ক্রু এবং তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের পাশে রয়েছি।’
উইলসন জানান, এআই-১৭১ ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, কিন্তু উড়ানের পরপরই সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তিনি বলেন, ‘এখন অনেক প্রশ্ন উঠবে, কিন্তু এই মুহূর্তে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।’
Air India-র তরফে জানানো হয়, আহত যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে সংস্থাটি সমস্ত জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ‘কেয়ারগিভার’ টিম আমদাবাদে পৌঁছয়, যারা দুর্ঘটনাস্থলে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার দলের সঙ্গে মিলে উদ্ধারকাজে যোগ দেয়।
উইলসন জানান, ‘আমরা এখন পুরোপুরি সহযোগিতা করছি তদন্তকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে। যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের পরিবার ও প্রিয়জনদের সাহায্য করার জন্য আমাদের দল নিরলস কাজ করে চলেছে। আমরা একটি হেল্পলাইন চালু করেছি, যাতে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেন ও খোঁজ নিতে পারেন।’
এই দুর্ঘটনার তদন্তে সময় লাগবে, তবে এখনই যা যা করা সম্ভব, এয়ার ইন্ডিয়া তা করছে বলে জানানো হয়েছে। উইলসনের কথায়, ‘আমরা তদন্তের প্রতিটি স্তরে সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বিমানটিতে যে ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী। বিমানে মোট ১১ জন শিশু থাকার খবরও পাওয়া গিয়েছে। এই দুর্ঘটনাকে ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।