দুর্ঘটনার তদন্ত এরইমধ্যে শুরু করেছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো। সরকারি বিবৃতি বলছে, এই কমিটি অন্যান্য সংস্থা ও তদন্তকারীদের তদন্তের বিকল্প নয়।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 14 June 2025 07:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash) নিয়ে রহস্য বাড়ছে। উঠে আসছে নানারকম বিস্ফোরক তথ্য। সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কেন্দ্র সরকার একটি উচ্চপর্যায়ের বহু-বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছে। স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি দুর্ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে, একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর (SOP) তৈরির সুপারিশ করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই কমিটি অন্যান্য সংস্থা ও তদন্তকারীদের থেকে পৃথক দের তদন্তের বিকল্প নয়। কমিটির রিপোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রকাশিত হবে।
ঘটনাটি ঘটে ১২ জুন সকালে, যখন লন্ডন গ্যাটউইকগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের পরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ওপর ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ২৪১ জন বিমানযাত্রী এবং কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা প্রাণ হারান। আহত বহু।
দুর্ঘটনার তদন্ত এরইমধ্যে শুরু করেছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB)।
কারা রয়েছেন কমিটিতে?
কমিটিতে রয়েছেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, গুজরাত সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিনিধি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, আমদাবাদ পুলিশ কমিশনার, ভারতীয় বায়ুসেনার ডিরেক্টর জেনারেল অফ ইন্সপেকশন (পরিদর্শন ও নিরাপত্তা), বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা ব্যুরো (BCAS) ও ডিজিসিএ (DGCA), গোয়েন্দা ব্যুরোর স্পেশাল ডিরেক্টর এবং ফরেনসিক সায়েন্সের ডিরেক্টরও।
প্রয়োজনে কমিটিতে আরও সদস্য যোগ করা হবে- যেমন, বিমান দুর্ঘটনা এবং বিমান বিশেষজ্ঞ ও আইন উপদেষ্টা।
তদন্তের মূল লক্ষ্য কী?
এই কমিটি দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে বের করবে। খতিয়ে দেখা হবে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি, ‘হিউম্যান এরর’ রয়েছে কিনা বা খারাপ আবহাওয়া, বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নিয়ম সঠিকভাবে মানা হয়েছে কিনা। একইসঙ্গে দেশের ও আন্তর্জাতিক মানের SOP বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সুপারিশও দেওয়া হবে কমিটির তরফ থেকে। এছাড়াও, নানারকম এমার্জেন্সি পরিস্থিতি সাপেক্ষে পরামর্শ দেবে কমিটি।
বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের মতে, কমিটি পুরনো বিমান দুর্ঘটনার রেকর্ড খতিয়ে দেখবে, বর্তমান নির্দেশনা বিশ্লেষণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, প্রশিক্ষণ কাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুপারিশ জানাবে।
কমিটির কাছে থাকবে সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডে প্রবেশাধিকারের ক্ষমতা- যেমন ফ্লাইট ডেটা, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত নথি, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (ATC) লগ বুক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য।
প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিমান প্রস্তুতকারকদের সঙ্গেও সহযোগিতা করবে কমিটি, বিশেষত যদি এই দুর্ঘটনায় বিদেশি নাগরিক বা সংস্থা যুক্ত থাকে।