সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭-৮ (Boeing 787-7) মডেলের ভিটি-এএনবি রেজিস্ট্রেশনের বিমানটি গত বছর জুনে ‘সি চেক’ বা পূর্ণাঙ্গ রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী পর্যবেক্ষণমূলক রক্ষণাবেক্ষণ নির্ধারিত ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে।
ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 16 June 2025 08:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বোয়িং-এর একদল বিশেষজ্ঞ (Boeing Experts)। বিমানে যান্ত্রিক ও উড়ান সম্পর্কিত ত্রুটি ছিল কি না, তা যাচাই করে দেখা হবে, যাতে বোঝা যায়, কী কারণে এত বড় বিপর্যয় ঘটল।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭-৮ (Boeing 787-7) মডেলের ভিটি-এএনবি রেজিস্ট্রেশনের বিমানটি গত বছর জুনে ‘সি চেক’ বা পূর্ণাঙ্গ রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী পর্যবেক্ষণমূলক রক্ষণাবেক্ষণ নির্ধারিত ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে।
জানা গিয়েছে, বোয়িং-এর বিশেষজ্ঞরা বিমানের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য খতিয়ে দেখবেন, পাশাপাশি কারিগরি ত্রুটি, রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত অসঙ্গতি বা পাইলটের কোনও সিদ্ধান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা, তাও বিশ্লেষণ করা হবে।
বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নম্বর AI-171) উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে। বিমানে ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী এবং ক্রু। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, একজন মাত্র যাত্রী, যিনি ১১এ নম্বর সিটে বসে ছিলেন এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানটি বিমানবন্দরের কাছাকাছি জুনিয়র চিকিৎসকদের হস্টেলে ভেঙে পড়েছিল। কমপক্ষে ২০ জন জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও দুর্ঘটনার মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানে যাত্রী আসনে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, সোমবারই তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে বাড়িতে আনা হবে না দেহ, আমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল থেকে সোজা রাজকোটে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
টাটা গোষ্ঠীর তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গত শনিবার টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যামবেল উইলসন জানিয়েছেন, 'নিহতদের প্রত্যেকের পরিবার এবং একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রীকে ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।'
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি ২০২৩-এর জুনেই পেরিয়েছিল নির্ধারিত ‘কমপ্রিহেনসিভ মেইনটেন্যান্স চেক’। পরবর্তী পরীক্ষা করা হত চলতি বছরের ডিসেম্বরে, এমনটাই জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সের এক শীর্ষ আধিকারিক।