শেষ আপডেট: 29th September 2024 13:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঝরাতে হঠাৎ ফোন পুলিশের কন্ট্রোলরুমে। তরুণী কণ্ঠে উদ্বেগের ছাপ। আগরা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে তিনি জানালেন, একেবারেই নিরাপদ অনুভব করছেন না এই জায়গায়। বাড়ি ফেরার জন্য কোনও অটোও পাচ্ছেন না। পুলিশের কাছে সাহায্য চাইছেন।
খবর পেয়েই সদলবল ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু পৌঁছনোর পরে সেই তরুণীকে সাহায্য করতে গিয়ে তো তাঁদের চোখ কপালে! স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে খোদ অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার! কী ব্যাপার?
আগরার অ্যাসিট্যান্ট পুলিশ কমিশনার সুকন্যা শর্মা নিজেই তখন জানান, তিনি পরীক্ষা করে দেখছিলেন, রাতের শহর সাধারণ মেয়েদের জন্য কতটা নিরাপদ এবং বিপদে পড়লে পুলিশ সাহায্য করে কিনা।
এসিপির কঠিন পরীক্ষায় পুলিশ ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুলিশের দল।
বস্তুত, দিনকেদিন দেশের নানা প্রান্তে নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ উঠছে। উত্তরপ্রদেশও ব্যতিক্রম নয়। প্রায়ই নানা অপরাধের শিকার হচ্ছেন মহিলারা।
প্রশ্ন উঠছে, রাতের শহর মহিলাদের জন্য আদৌ নিরাপদ? সেই সঙ্গেই আরও প্রশ্ন জড়িয়ে থাকছে, যে বিপদে পড়লে পুলিশের সাহায্য মেলে নাকি পাল্টা হেনস্থার শিকার হতে হয়?
এসবের উত্তর খুঁজতেই মাঝরাতে শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পথে নেমেছিলেন সুকন্যা। তিনি আসলে রিল লাইফের নন, রিয়েল লাইফেরই এক ‘দাবাং’ পুলিশ অফিসার।
তাই তো কোনওরকম নিরাপত্তা না নিয়েই সাধারণ পোশাকে সোজা আগরা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে পৌঁছে যান এসিপি। সেখান থেকেই সোজা শহরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন।
তবে এখানেই শেষ নয়। পুলিশের পরীক্ষা নেওয়ার পরে ওই স্টেশন চত্বর থেকেই একটি অটো নিয়ে তাতে চেপে বসেন সুকন্যা। অটো চালকের সঙ্গে কথা বলে রাতের শহরে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয় এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন। এরপর গন্তব্যে পৌঁছে নিজের পরিচয় দিতেই স্তম্ভিত হয়ে যান অটো চালক।
পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা হয়ে সুকন্যার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। আবার অনেকেই দাবি করেছেন, এটা পুলিশি দেখনদারি ছাড়া কিছু নয়। কারণ এতে যোগীরাজ্যে মহিলাদের অবস্থান কিছুই বদলাবে না।