শেষ আপডেট: 6 June 2024 09:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলেও তাঁর তৃতীয় সরকারে যে বিজেপি শেষ কথা হবে না, পদ্ম শিবিরের একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়াতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মোদী সরকার তৃতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই শর্ত চাপাতে শুরু করেছে এনডিএ'র প্রধান শরিকেরা। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইস্যু নিয়েও নিজেদের মত প্রকাশ করতে শুরু করেছে শরিকেরা।
বৃহস্পতিবার সকালেই 'দ্য ওয়াল'-এ লেখা হয়েছিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, এনআরসি, জনসংখ্যা আইনের মতো ইস্যুতে শরিকি বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে ন নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এনডিএ'র অন্যতম শরিক জেডিইউ'র প্রবীণ নেতা কেসি ত্যাগী দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলীয় সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, আমরা চাই সেনায় নিয়োগের অগ্নিবীর প্রকল্প পর্যালোচনা করা হোক। এই প্রকল্প যে ভাবে চলছে তা ঠিক নয়।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার বিষয়েও তাঁরা চান সব রাজ্য সরকারের মতামত নেওয়া হোক। এক তরফা কেন্দ্র যেন সিদ্ধান্ত না নেয়।
প্রসঙ্গত, বিজেপি ও কংগ্রেসের ইস্তাহারে এই ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলা আছে। কংগ্রেস বলেছে তারা সব ধর্ম ও জাতির নিজস্ব সামাজিক ও পারিবারিক প্রথা চালু রাখার পক্ষে। অভিন্ন বিধি চালুর পক্ষে নয়।
অন্যদিক, বিজেপি প্রথম থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বলবৎ করার পক্ষে। অর্থাৎ ধর্ম, জাত নির্বিশেষে বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ ইত্যাদিতে একই আইন বলবৎ থাকবে।
দু বছর আগে অগ্নিবীর প্রকল্প চালুর সময়েই নীতীশের দল আপত্তি তুলেছিল। নীতীশ তখন ছিলেন বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে। সেনায় চুক্তিতে নিয়োগের ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিহার জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন চলে। ট্রেন চলাচল থমকে যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নীতীশের দল তখনই অগ্নিবীর প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। কংগ্রেস ইস্তাহারে ওই প্রকল্প বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এনডিএ-তে ফিরে নীতীশের দল ওই প্রকল্পের পর্যালোচনা চাইছে। যা পরোক্ষে আপত্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আসলে আগামী বছর বিহার বিধানসভার ভোট। বিহারের হাজার হাজার তরুণ ভারতীয় সেনায় কর্মরত। তাদের কাছে সেনায় চাকরি অন্যতম সহায়। অগ্নিবীর প্রকল্প চালুর ফলে বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের মতো রাজ্যগুলির বেকার তরুণেরা সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে। স্বভাবতই নীতীশের দল ওই প্রকল্প নিয়ে সরকার গড়ার আগেই তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরল।
অন্যদিকে, মুসলিম ভোটের অঙ্কে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও সতর্ক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।