শেষ আপডেট: 16th September 2024 08:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক আরও বাড়ল ভারতে। কারণ কেরল থেকে আরও এক মৃত্যুর খবর এসেছে। মল্লপুরমের ২৪ বছরের এক যুবকের প্রাণ গেছে এই ভাইরাসের কোপে। এই নিয়ে চলতি বছর নিপা ভাইরাসে দ্বিতীয় মৃত্যু হল দেশে।
গত জুলাই মাসে মল্লপুরম জেলারই ১৪ বছর বয়সি এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাসের কারণে। চলতি মাসে একই জেলা থেকে আবার এল মৃত্যুর খবর। জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর এই মৃত্যু ঘটেছে। যুবকের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। তারাই নিপা ভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনার পর ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা অন্তত ১৫০ জনকে নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, নিপার প্রোটোকল মেনে ১৬টি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ভাইরাসের আতঙ্কে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় স্কুল-কলেজ ছুটি দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সকলকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। ভিড়ে বেরোলেই মাস্ক বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, পাখি কিংবা পশুর কামড়ানো কোনও ফল খাওয়া নিষেধ। ভাল করে ধুয়ে তবে সব ফল খেতে বলা হয়েছে। খোলা কৌটোতে রাখা কোনও পানীয় সেবন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এর আগেও চারবার কেরলে হানা দিয়েছিল এই মারণ নিপা ভাইরাস। ২০১৮, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে কোঝিকোড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল নিপা। এছাড়াও এর্নাকুলামে নিপায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে ২০১৯ সালে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যকে নিপা-মুক্ত বলে ঘোষণাও করেন বীনা জর্জ। কিন্তু এবারে ফের বিপর্যয়।
নিপা ভাইরাসকে বলে জুনটিক ভাইরাস অর্থাৎ পশুর থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। এই ভাইরাসের বাহক ফ্লাইং ফক্স (বৈজ্ঞানিক নাম পিটারোপাস মিডিয়াস) নামে একধরনের ফলভোজী বাদুড়। বাদুড় থেকে কুকুর, বিড়াল, ছাগল, ঘোড়া বা ভেড়ার শরীরে মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। আক্রান্ত পশুদের দেহের অবশিষ্টাংশ, বা মলমূত্র থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।