শেষ আপডেট: 25th September 2024 13:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিরুপতিতে অনেক বাঙালি না যেতে পারলেও, পুরীর জগন্নাথদেব দর্শন করেননি এমন বঙ্গসন্তান বিরল। আর পুরীতে গিয়ে মন্দিরের ভোগপ্রসাদ মাথায় তুলে মুখে দেননি এমন নাস্তিক বাঙালিও খুঁজে পাওয়া ভার। তিরুপতির লাড্ডু কাণ্ডের পর এবার সেই পুরীর ভোগ রান্নায় ব্যবহৃত ঘি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন পুরীর জগন্নাথদেব দর্শন করেন। রথের সময় ছাড়াও সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে সমুদ্রসৈকত শহরে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের শ্রীবেঙ্কটেশ্বর স্বামীর লাড্ডু ভোগের ঘিয়ে পশুচর্ব ও মাছের তেল থাকার বিতর্কের পর সর্বত্র হিন্দু ভক্তদের মধ্যে এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সেই সন্দেহের পরিবেশ দূর করতে পুরীর মন্দিরে ব্যবহৃত ভোগের ঘি পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ওড়িশার বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরে রান্নায় বা অন্যান্য প্রসাদ রান্নায় যে ঘি ব্যবহার করা হয়, তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করানো হবে। পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর বলেন, এখানে সে ধরনের কোনও অভিযোগ না সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে ঘিয়ের মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ শতকের এই হিন্দু তীর্থক্ষেত্র শ্রীক্ষেত্রের মন্দিরে কোঠা ভোগ অর্থাৎ যা দেবতাকে নিবেদন করা হয় এবং বরাদি ভোগ, যা কিনতে পাওয়া যায়, তাতে ব্যবহার করা ঘি পরীক্ষা হবে। পুরীর মন্দিরে ঘি সরবরাহ করে রাজ্য সরকারি সংস্থা ওড়িশা দুগ্ধ ফেডারেশন বা ওমফেড। জেলাশাসক আরও জানান, পুরীর মন্দিরের প্রসাদে যে কোনও ভেজাল নেই, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই ঘি পরীক্ষা করা হবে। ওমফেড এবং ভোগ রান্নার রাঁধুনি সহ পুরোহিত, ট্রাস্টির সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক পান্ডা জগন্নাথ সোয়াইন মহাপাত্র বলেন, এর আগে মন্দিরে জ্বালানো প্রদীপের ঘিতে ভেজাল মেশানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরেই তা রুখে দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, ভক্তদের বিশ্বাসই প্রধান কথা। তাই আমরা মন্দির প্রশাসনের মুখ্য প্রশাসকের কাছে ঘিয়ের পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।