শেষ আপডেট: 26th February 2024 18:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিড-উত্তরকালে মেয়েদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে এসেছে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাস মাতৃত্বের হারেও প্রভাব ফেলেছে নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে। কোভিড ১৯ কেটে গিয়েছে চার বছর হল। এই অসুখ মানবশরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে গিয়েছে। মস্তিস্ক, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এমনকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেও থাবা বসিয়েছে করোনা। এবার জানা গেল, যৌনকর্মেও অনীহা ডেকে এনেছে এই মারাত্মক সংক্রমণ।
কোভিড থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার পর অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি, তাঁদের ভিতরের যৌনেচ্ছা অনেক কমে গিয়েছে। মনোস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হলে সে সন্তান ধারণের কথা ভাবে। কিন্তু বর্তমানে জীবনধারণের সংগ্রামে যৌনতা বা মিলনের ইচ্ছা পিছনে পড়ে যাচ্ছে। অতিমারির পর সেটা আরও বেড়েছে।
নিউরোলজি, সাইকিয়াট্রি এবং নিউরোসার্জারির উপর একটি মিশরীয় পত্রিকায় ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যেসব মহিলা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের যৌন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ৬ মাস যৌন মিলন থেকে দূরে থাকা মেয়েদের ভিতর আর আগের মতো মিলনেচ্ছা জাগছে না।
সাপ্তাহিক যৌন সঙ্গমের হার অনেক কমেছে। মূত্রনালিঘটিত অসুখও এর সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে রয়েছে ভ্যাকসিন, মাথা ধরা, ক্লান্তির মতো উপসর্গ। যার কারণে মহিলাদের ভিতর থেকে যৌন কামনা আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ।
অন্যদিকে, বহু যুবা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আর্থিক এবং মনোস্তাত্ত্বিক চাপও আরেকটি কারণ। কোভিডের কারণে স্কুলছুট হওয়া কিংবা চাকরি চলে যাওয়া ও রোজগার কমে যাওয়াও যৌন মিলনের পরিপন্থী হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে সঙ্গীর সঙ্গে সহজ বিচ্ছেদ। যার ফলে যৌনসুখের প্রতি আগ্রহ কমছে মেয়েদের।
এর পাশাপাশি মহামারি সকলের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। যার ফলেও যৌনকর্মের হার নেমেছে। ২১টি সমীক্ষাকে পর্যালোচনা করে মেটার পর্যবেক্ষণ হল পুরুষ ও নারী উভয়েরই যৌন আকাঙ্ক্ষা, যৌন উত্তেজনা ও মিলন বা সঙ্গমসুখে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঘাটতি এসেছে কোভিডের পর থেকে। এর মধ্যে আকাঙ্ক্ষাজনিত অনিচ্ছা মেয়েদের মধ্যে সবথেকে বেশি ঘটেছে পুরুষ সঙ্গীর তুলনায়।
কোভিডের পর থেকে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধিতে পেশা ও পরিবারের মধ্যে সীমারেখা ঘুচে গিয়েছে। হতাশা এবং অত্যধিক কাজের চাপে যৌন প্রবৃত্তিগুলি ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছে। ফলে এখন থেকেই খেয়াল রাখুন আপনার সঙ্গিনীর মধ্যেও এরকম অনীহা আসছে কিনা। তাহলে তাঁর সঙ্গে খোলা মনে আলোচনা করুন। কিছুটা সময় নিজেরা নিজেদের জন্য আলাদা করে তুলে রাখুন। একে অপরকে স্পর্শ করুন। আদর করুন। একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তাতেও কাজ না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।