শেষ আপডেট: 13th September 2024 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় ছয় মাস পর শুক্রবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টি তো বটেই গোটা বিরোধী শিবিরের জন্য কেজরিওয়ালের জামিন একটি সুখবর। জামিন দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। আবার গ্রেফতারি নিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্ন মতও পোষণ করেছেন।
তব সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের শর্ত। এই জাতীয় আর পাঁচটি মামলার মতো কেজরিওয়ালকেও জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিনদার হাজির করতে হবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট আরও দুটি কঠোর শর্ত চাপিয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, * কেজরিওয়াল মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। * তিনি তাঁর সরকারি দফতরে যেতে পারবেন না। * পারবেন না সরকারি ফাইলপত্রে সই করতে।
শেষের দুটি শর্ত অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও তিনি জেলমুক্তির পরও মুখ্যমন্ত্রিত্ব করতে পারবেন না। অর্থাৎ তিহাড় জেল ভিতরে ও বাইরে থাকার মধ্যে তাঁর সরকারি দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞায় কোনও ফারাক হচ্ছে না। গত ছয়মাস মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও ফাইলপত্রে সই করতে না পারায় বহু কাজ আটকে গিয়েছে। জামিনের পরও তিনি ডানা ছাঁটা মুখ্যমন্ত্রীই থাকছেন।
নিয়ম হল, কিছু বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব অন্য কোনও মন্ত্রীকে অর্পণ করতে পারেন। কিন্তু কিছ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, অনুমোদন এবং স্বাক্ষর জরুরি। যেমন উপ-রাজ্যপালের কাছে পাঠানো বেশিরভাগ ফাইলে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর থাকতেই হয়। এই পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করেন কি না সেটাই এখন দেখার।
ফলে জামিন পেলেও কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই গেল। তিনি এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে পরে আবেদন করতে পারেন। আগামী বছর দিল্লি বিধানসভার ভোট। ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে রাজধানীতে। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকায় সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আপ নেতৃত্বকে ভাবতে হচ্ছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছে। ফলে জামিন পেলেও কেজরিওয়াল এখন কাজহীন মুখ্যমন্ত্রী।