শেষ আপডেট: 7th September 2024 17:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে মোট চারবার। তারমধ্যে ১৯৯৯-এ কারগিলে সংঘঠিত লড়াইকে সামরিক পরিভাষায় যুদ্ধ বলা হয় না। বলা হয় সংঘর্ষ। যদিও তাতে দুই দেশের বহু সেনা মারা যায়। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দুই দেশই। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিল্টন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপর প্রবল চাপ তৈরি করলে লড়াইয়ে ইতি টানে পাক সেনা।
আশ্চর্যের হল, বিগত আড়াই দশকে পাকিস্তান সরকার ও তাদের সেনা বাহিনী কখনও কারগিল যুদ্ধে তাদের যোগদানের কথা স্বীকার করেনি। তারা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল পাকিস্তানের অধীনে থাকা কাশ্মীরি মুজাহিদিন বা স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কাশ্মীরকে ভারতের কবল মুক্ত করতে এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল। যদিও যুদ্ধে পুরোমাত্রায় অংশ নেয় পাক সেনা। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর গোলা ভারতীয় ভূখণ্ডে এসে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিবিসি-সহ একাধিক সংবাদ মাধ্যম পাক সেনার যুদ্ধ করার কথা সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এমনকী বেজিং সফররত সেনা প্রধান জেনালের মোশারফের সঙ্গে এক শীর্ষ সেনা কর্তার ফোনে কারগিল যুদ্ধ নিয়ে কথার অডিও টেপ ফাঁস হয়ে গেলেও ইসলামাবাদ অবস্থান থেকে সরেনি। তারপরও তাৎকালীন পাক সেনা প্রধান জেনারেল মোশারফ বারে বারে তাঁর বাহিনীর যোগদানের কথা অস্বীকার করেন।
শনিবার পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিফ মুনির দেশের প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জমায়েতে বলেন, ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯-এ হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শত শত পাক সেনা দেশ ও ইসলামের জন্য জীবন বলিদান করেছেন। তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। অনুষ্ঠানে নিহত সেনাদের পরিবারের লোকজনেরাও ছিলেন। এর আগে কোনও সেনা প্রধান কিংবা প্রতিরক্ষা কর্তা কারগিল যুদ্ধে তাদের সেনা বাহিনীর যোগদানের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি।
জেনালেন মোশারফ পরবর্তীকালে নওয়াজ শরিফকে গদিচ্যুত করে নিজেই দেশের প্রেসিডেন্ট হন। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ পরবর্তীকালে একাধিকবার বলেছেন, কারগিলে যুদ্ধের কথা সেনাবাহিনী তাঁর কাছে গোপন করেছিল। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর দিল্লি সফরে আসেন প্রয়াত মোশারফ। সেই সফরেও দাবি করেছিলেন কারগিলে পাক সেনা লড়াই করেনি, লড়াই হয় ভারতীয় সেনা বনাম মুজাহিদিনদের।