শেষ আপডেট: 1st January 2025 16:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্য মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকায় ১৪৪ বর্গ মিটারের দোকান। ২০০১ সালে মুম্বইয়ে ওই পরিমাণ জমির দাম ছিল কয়েক কোটি টাকা। বস্তুত কর্মব্যস্ত ওই এলাকায় রাস্তার ধারে দোকান ভাড়া পাওয়াই ছিল বিরাট বড় স্বপ্ন পূরণ। সেখানে ছোট্ট দোকানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
বিক্রেতা ছিল মুম্বইয়ের আয়কর দফতর। বাজেয়াপ্ত দোকানটি বিক্রির জন্য নিলামের আয়োজন করেছিল সরকারি সংস্থাটি।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছিল দু লাখ টাকা। ওই দামেই সেটি কিনেছিলেন আগ্রার বাসিন্দা হেমন্ত জৈন। কিন্তু নিজের নামে সেই দোকানের দলিল হাতে পেয়েছেন ২০২৪-এর শেষে, গত ৯ ডিসেম্বর। অবশ্য খাতায় কলমে মালিকানা পেলেও এখনও দোকানটি হস্তগত হয়নি ৫৭ বছর বয়সি হেমন্তের। কেনার সময় বয়স ছিল ৩৩।
কিন্তু মুম্বইয়ের মতো শহরে সেই দোকানের দাম কেন চড়েনি আর হাতবদল নিয়েও বা সমস্যা কোথায়? আসলে, দোকানটির মালিক ছিলেন মুম্বই দাঙ্গার প্রধান আসামি, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম। আর সেই কারণেই ২০০১ সালে দোকানটি নিলামে তোলা হলেও ক্রেতা তেমন মেলেনি। আয়কর দফতর দোকানটি বাজেয়াপ্ত করেছিল দাউদের বিরুদ্ধে থাকা আয়কর ফাঁকির মামলায়।
আগ্রার বাসিন্দা হেমন্ত কেন মুম্বই ছুটেছিলেন দাউদের দোকান কিনতে। ৫৭ বছর বয়সি হেমন্তের কথায়, দাঙ্গায় অভিযুক্ত বলেই দাউদের সম্পত্তি কেনার ইচ্ছা জেগেছিল। কিন্তু নিলাম শেষে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে বিপত্তি বাধে। রেজিস্ট্রেশন দফতর জানায় দাউদের সম্পত্তি হাত বদলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। অনেক দৌড়ঝাঁপের পর রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি মিললেও অর্থ দফতর ওই বাবদ ২২ লাখ টাকা দাবি করে। তারা জানায়, সরকারি দর অনুযায়ী ওই অর্থই রেজিস্ট্রেশন বাবদ দিতে হবে। বিস্তর আইনি লড়াই শেষে গত মাসে দেড় লাখ টাকায় জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হলেও নতুন সমস্যা ভাড়াটিয়া। দাউদের ওই দোকানের ভাড়াটিয়া এখনও ওঠেননি। হেমন্তের তাতে আক্ষেপ নেই। দাউদের সম্পত্তি কেনাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় খুশি আগ্রার হেমন্ত জৈন।