শেষ আপডেট: 5th February 2024 16:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা অন্তর্বতী বাজেটে বিজেপি বিরোধী রাজগুলিকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে এই বঞ্চনা বন্ধ না হলে দক্ষিণ ভারতকে পৃথক দেশ গড়ার দাবিতে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্নাটকের এক কংগ্রেস নেতা।
কেন্দ্রের বঞ্চনাকে সৎ মায়ের আচরণের সঙ্গে তুলনা করে সোমবার এ ব্যাপারে সংসদে সরব হন কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। কর্নাটকের প্রসঙ্গ টেনে অধীর বলেন, “প্রতিটি বিজেপি বিরোধী রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হল কর্নাটক। কয়েক মাস আগে পর্যন্ত কর্নাটকে সবকিছুই ছিল হাঙ্কি ডরির মতো। কিন্তু, নতুন সরকার আসার পর থেকে কেন্দ্র টাকা দিতে সমস্যা শুরু করেছে।"
১৫ তম অর্থ কমিশনের অধীনে ১১হাজার কোটির বেশি রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ এনে কংগ্রেস সাংসদের দাবি, বর্তমান অর্থমন্ত্রীর আমলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এরপরই পাল্টা জবাব দিতে উঠে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেন, “আপনার কথা মতো কর্নাটকে ৬ মাস আগে পর্যন্ত সবকিছুই 'হাঙ্কি ডোরি' ছিল। যদি তাই হয় তবে কী ভুল হয়েছিল? খোঁজ নিয়ে দেখুন, আপনাদের সরকার সে রাজ্যে কোন কোন খাতে অর্থ খরচ করেছে, আদৌ সংশ্লিষ্ট খাতে অর্থ খরচ করা যায় কিনা। তাই কেন্দ্রকে দোষারোপ করবেন না। কেন্দ্র নিয়মের বাইরে কিছু করছে না।“
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিএসটির নাম করে রাজ্য থেকে টাকা তুলে নিয়ে গিয়েও প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার অভিযোগে বারে বারে সরব হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছে কেরল এবং তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রের চালু করা জিএসটি প্রসঙ্গে সোমবার লোকসভায় সরব হয়েছিলেন অধীর। জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, “কোন রাজ্য কর বাবদ কত টাকা পাবে , সেটা অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুসারে হয়ে থাকে। এর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ইচ্ছার কোনও সম্পর্ক নেই। চাইলেও এক্ষেত্রে বরাদ্দ পরিবর্তন করার অধিকার আমার নেই।”
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের এই বঞ্চনার প্রতিবাদে বুধবার সংসদে বিক্ষোভ দেখাবেন কর্ণাটকের সাংসদররা।