শেষ আপডেট: 6th March 2025 11:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুটিকতক কন্নড় ও তামিল ছবিতে অভিনয় করার পর দর্শকমনে আর তেমন দাগ কাটতে পারেননি অভিনেত্রী রানিয়া রাও। তাই কি বিদেশ থেকে সোনা পাচারের কাজে নেমে পড়েছিলেন তিনি? বিশেষত আইপিএস অফিসার তথা কর্নাটকের ডিজিপি পদমর্যাদার সৎবাবার প্রভাব-প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে বারবার তল্লাশি এড়িয়ে বিমানবন্দরের চৌকাঠ পেরিয়ে গিয়েছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, গত একবছরের মধ্যে রানিয়া প্রায় ৩০ বার দুবাই গিয়েছিলেন। ১৫ দিনের মধ্যে চারবার। আর প্রতিবারই তাঁকে একই পোশাক পরে ফিরতে দেখে সন্দেহ মাথাচাড়া দেয় তদন্তকারী অফিসারদের।
বুধবার বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে বমাল গ্রেফতার করা হয়। শাড়ির নীচে একটি বেল্টে সোনার বাঁটগুলি বাধা ছিল। তাঁর শরীর ও বাক্স তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৫ কেজির মতো চোরাই সোনা, যার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ১২ কোটি টাকা, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাঁর কাছ থেকেই নয়, রানিয়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না ও নগদ ২.৬৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স।
রানিয়াকে বিশেষ আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ও নিরাপত্তার কারণে তাঁকে নিভৃতকক্ষে রাখা হয়েছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই আঁতকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে উঠে আসছে। বছরখানেক ধরে অন্তত ৩০ বার দুবাই গিয়ে তিনি কিলো কিলো সোনা এদেশে পাচার করে এনেছেন বলে সন্দেহ। সোনা পাচারের রোজগার হিসেবে কিলোপ্রতি ১ লক্ষ টাকা তিনি পেতেন। সেই হিসেবে প্রতিটি সফরে রানিয়ার রোজগার ছিল আনুমানিক ১২-১৩ লক্ষ টাকা।
৩২ বছরের মেয়ের এই কাণ্ডে আপাতত খুবই আঘাত পেয়েছেন সৎবাবা রামচন্দ্র রাও। তিনি জানিয়েছেন, এসব কিছুই আমি জানি না। মাস চারেক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তারপর থেকে ও একবারের জন্য বাড়িতে আসেনি কিংবা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ও স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকে। আমার চাকরি জীবনে কোনও কালো দাগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে, এর বেশি কিছু আমার বলার নেই। ওর কিংবা ওর স্বামী যতীনের ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও খবরও আমরা রাখি না।