শেষ আপডেট: 2nd September 2024 13:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার দুপুরে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে বেআইনি নিয়োগ, সম্পত্তি লিজে দেওয়া সহ ১০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতায় অস্বীকার করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল থেকে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি ইডির সঙ্গে অসহযোগিতা করেন বলে সংস্থার অভিযোগ। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডির সদর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খানের বাড়িতে এদিন সকালে হাজির হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ওখলার বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশিকে তাঁকে গ্রেফতারের প্রথম ধাপ বলে তখনই জানিয়েছিলেন বিধায়ক। ইডি সূত্রও জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের বিষয়ে তদন্তস্বার্থে আমানাতুল্লার বাড়িতে গিয়েছে তারা।
সূত্রে জানা গিয়েছে, আমানাতুল্লা প্রথমে ইডিকে ঢুকতে দিতে আপত্তি জানালেও পরে দরজা খুলে দেন। কোনও গন্ডগোল এড়াতে ইডি আধা সামরিক বাহিনী সঙ্গে করে নিয়ে যায়। ইডির তল্লাশির বিষয়ে বিধায়ক একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইডি তাঁকে গ্রেফতার করতে চায়। তল্লাশি চালানোটা সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ। আমার শাশুড়ি ক্যানসার রোগী। চারদিন আগেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। উনি আমার বাড়িতেই বর্তমানে আছেন। সেকথা ইডিকে জানিয়েওছি আমি।
তিনি আরও বলেন, গত দুবছর ধরে আমাকে নিয়ে ওরা টানাটানি করছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চাপানো হয়েছে। পদে পদে সমস্যা খাড়া করছে। শুধু আমাকেই নয়, আমাদের দলকে বিব্রত করে চলেছে। ওদের লক্ষ্য আমাদের দল ভেঙে দেওয়া। ওখলার মানুষের কাছে আমার আবেদন, আমার জন্য আপনারা প্রার্থনা করুন। ভয় পাবেন না, আমরাও ভয় পাচ্ছি না।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন বয়স্ক মহিলা বিছানায় শুয়ে আছেন। আমানাতুল্লা ইডি অফিসারকে বলছেন, আমাকে একমাস সময় দিন। আমার শাশুড়ির সবে অপারেশন হয়েছেন। ইডির অফিসার বলেন, আপনি ভাবছেন কেন যে আমরা আপনাকে গ্রেফতার করতে এসেছি। তখন বিধায়কের স্ত্রী রুখে দাঁড়িয়ে বলেন, তাহলে কী করতে এসেছেন আপনারা! আমাদের তিন কামরার বাড়িতে কেন তল্লাশি করবেন? আমার মায়ের যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে আমি আপনাদের কাঠগড়ায় তুলব। আমার মা দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছেন না।
দলীয় বিধায়কের সমর্থনে আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেন। যাঁরাই বিজেপির সমালোচনা করছেন, বেছে বেছে তাঁদেরই হেনস্তা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, অভিযোগ তাঁদের। যাঁরা সমঝোতা করছেন না, তাঁদের ধরে জেলে পোরাই ইডির কাজ, বলেছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া। যিনি সম্প্রতি আবগারি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।