শেষ আপডেট:
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শনিবার শপথ নিলেন আতিশী মারলেনা। আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল তিহার জেল থেকে কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্তি পাওয়ার হঠাৎ করেই বদল ঘটে দিল্লির রাজনীতিতে। এদিন দিল্লির অষ্টম এবং কনিষ্ঠতম নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন আতিশী। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা।
তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে এদিন শপথ নেন প্রথম বিধায়ক হওয়া সুলতান মাজরার বিধায়ক মুকেশ আহলাওয়াত। এছাড়া গোপাল রাই, ইমরান হুসেন, কৈলাস গেহলট এবং সৌরভ ভরদ্বাজ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভায় শিক্ষা ছাড়াও বেশ কয়েকটি দফতর ছিল কালকাজির বিধায়ক আতিশীর হাতে। তাঁর আগে দিল্লি মাত্র দুজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল। তাঁদের একজন হলেন কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত এবং বিজেপির সুষমা স্বরাজ।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের তাঁর মন্ত্রিসভার এই মহিলা মন্ত্রীকে উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কেউই অবাক হননি। শুধু আম আদমি পার্টিই নয়, বিজেপি এবং কংগ্রেসেও গুঞ্জন ছিল আতিশীর নাম নিয়ে। বিরোধীরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে আতিশী বাদে অন্য কাউকে আপ সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর উত্তরসূরি বাছলে মহিলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ উঠত।
আপ নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, কেজরিওয়াল তিনটি কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমত, এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে আতিশী তাঁর পাশে থেকে দল ও সরকার পরিচালনায় সাহায্য করেছেন। দ্বিতীয়ত, কেজরিওয়াল জেলে থাকাকালীন ছয় মাসে আতিশী এমনভাবে প্রশাসন পরিচালনা করেছেন যে সরকারি কর্তাদের উপর তাঁর বাড়তি নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়েছে। এই অবস্থায় দ্বিতীয় কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে আতিশীর অসহযোগিতার সম্ভাবনা কেজরিওয়াল উড়িয়ে দেননি।
তৃতীয়ত, বিজেপি দিল্লি বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে প্রয়াত সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশরীকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে তুলে ধরতে পারে। এবারই প্রথম বিজেপি তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী করে। জিতে লোকসভাতে নিজের উপস্থিতি তুলে ধরেছেন বাঁশরী। সেক্ষেত্রে আতিশী মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকলে রাজনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে আপ।