ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 9th November 2024 11:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে ২৪ ঘণ্টা একজন সিনিয়র চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এতদিন তা বাধ্যতামূলক ছিল না। মূলত রাতের দিকে এমার্জেন্সি সামলাতেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এখন থেকে রাতেও একজন সিনিয়র চিকিৎসককে এমার্জেন্সি ডিউটিতে রাখা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিল দেশের সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষায় গঠিত জাতীয় টাস্ক ফোর্স।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে। সেই সূত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছিল জাতীয় টাস্ক ফোর্স।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে এই প্রস্তাব রেখেছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স। এছাড়াও রাতে কর্তব্যরত সব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালের সব গাড়িকে জিপিএস সিস্টেমের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালের সর্বত্র, বিশেষ করে বেসমেন্ট এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সুনিশ্চিত করা, প্রতিটি হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর তৈরি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা রুখতে আভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন-সহ একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের জমা পড়া প্রস্তাব বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কাছে পাঠানোও হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে রাজ্যগুলিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তারপরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে শীর্ষ আদালত।
তবে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় নতুন করে আইন প্রণয়নের যে দাবি আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছিল, তার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স। তাদের তরফে এ ব্যাপারে বলা হচ্ছে, এই সংক্রান্ত যাবতীয় অপরাধের সংস্থান রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়। ফলে নতুন করে কোনও আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই।