শেষ আপডেট: 21st October 2024 12:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নয়াদিল্লির রোহিনী এলাকায় সিআরপিএফ স্কুলে বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তানপন্থী সংগঠন জাস্টিস লিগ ইন্ডিয়া। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের বিস্ফোরণের খবর ভাইরাল হওয়ায় দিল্লি পুলিশ টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। রোহিনীর প্রশান্ত বিহার এলাকার ওই স্কুলে বিস্ফোরণে দেওয়ালে একটি বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে, আশপাশ থেকে প্রচুর পরিমাণে হোয়াইট পাউডার মিলেছে। বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
টেলিগ্রাম মেসেজে রবিবার সন্ধ্যায় লেখা হয়, ভারতীয় গুপ্তচরদের মাধ্যমে খলিস্তানপন্থীদের খতম করার চক্রান্তের বদলা হিসেবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকায় খলিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনকে খুনের চক্রান্ত কষার অভিযোগে এফবিআই ভারতের প্রাক্তন র-এজেন্ট বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে। এই বিকাশ যাদব আগে সিআরপিএফের অফিসার পদে কাজ করতেন বলে আমেরিকার অভিযোগ। সে কারণেই আধা সামরিক বাহিনীর স্কুলকে টার্গেট করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
টেলিগ্রামে বিস্ফোরণের একটি ক্লিপ দিয়ে জাস্টিস লিগ ইন্ডিয়া দায় স্বীকার করে পোস্ট করে। তাতে ওয়াটার মার্কে লেখা ছিল খলিস্তান জিন্দাবাদ। তার সঙ্গে আরও লেখা ছিল, যদি ভারতের ভীতু গোয়েন্দারা এবং তাদের পান্ডা মনে করে যে, তারা গুন্ডা ভাড়া করে আমাদের লোকজনকে খতম করবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। ওরা জানে না, ওদের কত কাছে রয়েছি আমরা। আর ইচ্ছে করলে যে কোনও সময় ওদের উপর হামলা চালাতে পারি। খলিস্তান জিন্দাবাদ হ্যাশট্যাগ জেএলআই।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, টেলিগ্রামের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আদৌ এই দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের মতে, দেশীয় পদ্ধতিতে বানানো এই বিস্ফোরক খুবই কম ক্ষতিসাধক ছিল। চক্রান্তকারীরা ক্ষতি করার থেকেও কোনও বার্তা দিতে এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। কারণ বিস্ফোরক যেখানে রাখা ছিল, সেখানে কোনও প্রাণহানির সম্ভাবনা নেই জেনেই তা রাখা হয়েছে।