শেষ আপডেট: 25th October 2024 12:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি অফিসগুলির কর্মসংস্কৃতি নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। পরিষেবা পেতে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। নাগরিকদের অভিযোগ, কর্মচারীরা কাজ করেন না। অন্যদিকে, কর্মচারী, আমলাদের বক্তব্য, কাজের তুলনায় কর্মী কম। যদিও বিশেষজ্ঞরা সেই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, নিয়মের জটিলতা আর অফিসের অপ-পরিবেশের কারণে মানুষ সময়ে সরকারি পরিষেবা পাচ্ছে না।
এমন পরিচিত সমস্যার সমাধানে সাধারণ কর্মচারী থেকে পদস্থ আমলা, দেশ জুড়ে ভারত সরকারের অফিসগুলিতে শুরু হতে যাচ্ছে কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। উদ্দেশ্য প্রতিটি কর্মীকে কর্মযোগী করে তোলা। এক কথায় দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে তাদের আরও বেশি কাজের উপযোগী করা।
এজন্য অচিরেই চালু করা হবে ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট অনলাইন ট্রেনিং প্রোগ্রাম। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কমিশন বা দক্ষতা বৃদ্ধি আয়োগ একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করেছে এই প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য। তিন বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই কমিশন গঠন করে। সিবিএসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আর বালাসুব্রহ্মণম জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর ভাষণ এবং এক্স হ্যান্ডেল-সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় পোস্ট করা তাঁর উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য থেকে দিশা নিয়ে প্রশিক্ষণের বিভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যগুলি বিশ্লেষণ করে তারা চারটি শব্দ বাছাই করেছেন যা সাধারণ কর্মী থেকে পদস্থ আমলা, প্রত্যেককেই আত্মস্থ করতে হবে। সেগুলি হল ‘বিকাশ’, ‘গর্ব’, ‘কর্তব্য’ ও ‘একতা’।
বালাসুব্রহ্মণম জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩৪টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন সিবিসি-র বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যে ১২টি বিষয় হল আচরণ সম্পর্কিত। সিবিসি-র এক অফিসারের কথায়, সরকারি অফিসগুলিতে কর্মচারী এবং কাজের সূত্রে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক সময়ই সংঘাতের আবহ বিরাজ করে। সরকারি পরিষেবা নিতে আসা নাগরিকের সেটা অধিকার।
কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সাধারণভাবে জমিদারসূলভ মনোভাব কাজ করে। তাদের আচরণ থেকে এমন বার্তা যায় যে সুবিধাটি পাওয়া না পাওয়ার ক্ষেত্রে ওই সরকারি কর্মচারীর সিদ্ধান্তই শেষ কথা। বাস্তবে কোনটা কার কতটুকু প্রাপ্য সবই বলা থাকে সরকারি নির্দেশিকায়। কোনও কর্মচারী বা অফিসারের এককভাবে পৃথক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। এই ধরনের আচরণ থেকে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ফলে অফিস ও কর্মচারী পিছু উৎপাদন বা কাঙ্খিত কাজ আদায় করা যায় না।
সিবিসি সূত্রে বলা হয়েছে কর্মী থেকে কর্মযোগী করার অভিযানের লক্ষ্য হল সরকারি কর্মচারীরা যাতে নাগরিকের চাহিদা, অধিকারকে বিবেচনায় রেখে কাজ করে। সেই কারণে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২২টি বিষয়কে বাছাই করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মী কীভাবে ছুটি, কাজের সময় ইত্যাদি অধিকার বজায় রেখেও বাড়তি কাজ করতে পারেন তা শেখানো হবে অনলাইন প্রশিক্ষণে।