শেষ আপডেট: 18th September 2024 11:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অব্যবস্থা নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে থেকে নানা অভিযোগ পাচ্ছিলেন বিধায়ক। সময় মতো ডাক্তার আসেন না, রাতে মেলে না মহিলা ডাক্তার, প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দ সরকারি সুবিধার নামগন্ধ নেই, বেসরকারি দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা, এমন বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার বিনা নোটিসে সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে গিয়ে হাজির হন বিধায়ক। সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, রোগীদের কাছ থেকে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর জন্য এক টাকার জায়গায় দু টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাকরি গেল অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী তথা ফার্মাসিস্টের।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জের, যা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। কম-বেশি সব রাজ্যেই গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি একপ্রকার ‘নেই রাজ্য’ এবং নানা অনাচার চলে বছরভর। মহারাজগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক প্রেম সাগর প্যাটেল জাগদৌর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে গিয়ে হাতেনাতে ধরেন সঞ্জয় নামের ওই ফার্মাসিস্টকে। তিনি একজন ঠিকা কর্মী।
বিধায়কের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে রোগী ও পরিজনের অভিযোগ শোনার ভিডিও কেউ একজন সোশ্যল মিডিয়ায় আপলোড করে। তাতে দেখা যায়, বিধায়ক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তাদের বলছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমাকে কিছু বোঝাতে হবে না। এইভাবে আপনারা গ্রামের মানুষের অশিক্ষা ও দারিদ্রের সুযোগ নেন।’ অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। অভিযুক্তকে বলেন, ‘আপনার কত বড় সাহস, এক টাকার জায়গায় দু’টাকা করে নিচ্ছিলেন!’
খবর পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে যান। বিধায়কের সামনেই ওই ফার্মাসিস্টকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার ফরমান জারি করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সমস্যা দূর করা হবে বলে বিধায়ক ও গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।