শেষ আপডেট: 9th January 2025 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোপাল সেন্ট্রাল জেলের ভিতর মিলল 'মেড ইন চায়না' ড্রোন। কী করে চিনা ড্রোন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ডিঙিয়ে জেল চৌহদ্দির মধ্যে ঢুকে পড়ল? কে বা কারা, কোথা থেকে এই ড্রোন উড়িয়েছে, এসব নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই ড্রোন উদ্ধারে ফের নতুন করে ভারতের নিরাপত্তার ফাঁকফোঁকর ও চিনের মতলব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বিষয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোপাল সেন্ট্রাল জেল হল দেশের অন্যতম একটি হাই-সিকিউরিটি জেল। এখানে নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার (SIMI) ৩২ জন সহ ৬৯ জঙ্গি কঠোর নিরাপত্তায় রয়েছে। জঙ্গিদের পাকড়াও করে রাখা এ রকম একটি দুর্ভেদ্য জেলে কী করে চিনের তৈরি ড্রোন ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। কালো রঙের এই ড্রোনটিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্যামেরা লাগানো ছিল। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ব্যাটারিও চার্জড ছিল। ড্রোন উদ্ধারের পরেই জেল মহলে ব্যাপক আতঙ্ক ও হইচই পড়ে যায়।
জেল সুপার রাকেশকুমার ভাঙ্গরে বলেন, জেলের বি ব্লকের কাছে একটি দোতলা বাড়ির নির্মাণকাজ চলছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ হনুমান মন্দিরের পিছনে একটি ড্রোন উড়ে এসে পড়ে। সেখানে ডিউটিতে থাকা এক জেলরক্ষী প্রথম নজরে আসে ড্রোনটি। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৩০-৪০ গ্রামের এই ড্রোনের ব্যাটারিটি চার্জ দেওয়া ছিল। কালো রঙের এই ড্রোনে একটি ক্যামেরাও রয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ড্রোনটিকে কোনও বাচ্চা ছেলের বলে সাফাই দিয়েছে। যে জেলের কাছাকাছি কোনও জায়গায় এটা নিয়ে খেলছিল।
১৫১ একর জায়গা জুড়ে ভোপাল সেন্ট্রাল জেলে ঘর আছে ২,৬০০ জন থাকার মতো। কিন্তু, এখানে প্রায় ৩,৬০০ জন বন্দি আছে। এই জেলে রয়েছে ২৩ জন সিমি সদস্য। এছাড়াও ২১ জন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, ১৭ জন হিজব-উত-তাহরির, ৪ আইসিস এবং ৪ জন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ-এর জঙ্গি। ২০০৮ সালের আমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিও এই জেলে বন্দি রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ড্রোন নিয়ে।