বান্টি আর বাবলি দম্পতি হেমন্ত সোরেন ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন
শেষ আপডেট: 23 November 2024 12:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপি তাচ্ছিল্য করে নাম রেখেছিল 'বান্টি অউর বাবলি'। সেই বান্টি আর বাবলি দম্পতি হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) টানা দ্বিতীয়বার মহা গাঁটবন্ধনের ছায়ায় সরকার গড়তে চলেছেন। ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এই দম্পতির ঘাম ঝরানো দৌড়ে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও পিছনে ঠেলে দিয়েছে (Jharkhand Assembly Election Results 2024)।
জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর বিজেপির চোখে বাবলি বা কল্পনা সোরেন রাজনীতিতে হাতেখড়ি দেন। তার আগের দিন পর্যন্ত ঘরগৃহস্থী নিয়েই দিন কাটাতেন কল্পনা। ভোটের (Jharkhand Assembly Election Results 2024) আগে এই দম্পতি গোটা রাজ্য চষে ফেলে প্রায় ২০০টি জনসভায় অংশ নেন। তার ফলশ্রুতি হিসাবে শনিবার বিধানসভা ভোটে জেতার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা 'গুরুজি' শিবু সোরেনের পুত্রবধূর জন্য ইতিমধ্যেই উৎসবে মেতে উঠেছেন। চলছে বাজি ফাটানো এবং মিঠাই বিলি। যদিও বিকেল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেনি।
হেমন্ত ও কল্পনা দুজনেই রাজ্যের আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে সহানুভূতি ভোটে (Jharkhand Assembly Election Results 2024) পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। সরকার বিরোধী হাওয়াকে আদিবাসী আবেগের উপর ভর দিয়ে পরিচালিত করতে সমর্থ হয়েছেন। ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে, সোরেনের বিরুদ্ধে বিজেপির জমি কেলেঙ্কারি ইস্যু, অনুপ্রবেশ কিংবা লাভ জিহাদের প্রচার ধোপে টেকেনি।
গান্ডে বিধানসভা কেন্দ্রের বহিরাগত প্রার্থী হিসাবে বিজেপি কল্পনাকে 'হেলিকপ্টার ম্যাডাম' নাম দিয়েছিল ভোটের আগে। তা সত্ত্বেও ভোটগণনার শুরুর দিকে পিছিয়ে পড়েও শেষবেলায় মেকআপ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন কল্পনা। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, আমি গান্ডে এবং গিরিডির মানুষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমাদের সমর্থনের জন্য। নিজের মেয়ের মতো যেভাবে রাজ্যের মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছেন তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
গলায় হাঁসুলি, এক হাতে ব্রেসলেট, অন্য হাতে ঘড়ি। পরনে ঝাড়খণ্ডের আঞ্চলিক পড়িয়া শাড়ি। প্রচারে গেলে মঞ্চ থেকে নমস্কার, আদাব, প্রণাম এবং জোহার বলে সম্বোধন। সব মিলিয়ে রাজ্যের ঘরের মেয়ের একটি প্যাকেজ হলেন কল্পনা। যা দিয়ে স্বামীর মানরক্ষা থেকে আদিবাসী অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন দীর্ঘ ২৫০ দিন ধরে। আর সেই লড়াইয়েরই সুফল তুললেন বিজেপির মুনিয়া দেবীকে ১০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে হারিয়ে।