শেষ আপডেট: 23 March 2024 02:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৬ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির নির্দেশ দিল আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্য-প্রমাণ গোপন করা এবং পুলিশকে ঘটনা না জানানোর দায়ে অভিযুক্তের মাকেও সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে পুণের দায়রা আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের অগস্টে ঘটনাটি ঘটে কামশেটে। ৬ বছরের মেয়েটি তার বাড়ির উঠনে খেলছিল। তখনই অভিযুক্ত মাভাল তালুকার তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এবং তার গলা কেটে ফেলে। পরের দিন অভিযুক্তের বাড়ির উঠোনে মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে প্রথমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে তথ্য গোপনের অভিযোগে পরে তার মাকেও হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পুণের দায়রা আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেশ কাবেদিয়ার জানান, মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বাড়ির পিছনে একটি গাছের নীচে একটি গর্তে মৃতদেহটিকে পুঁতে রাখার চেষ্টা করে। ছেলেকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে এই কাজে তার মাও সাহায্য করেছিলেন।
সরকারি আইনজীবীর দাবি, "অভিযুক্ত একজন যৌন পাগল, অনিয়ন্ত্রিত, নিরলস যৌন চিন্তায় আচ্ছন্ন এবং শিশু পর্নোগ্রাফি দেখার প্রতি আসক্ত ব্যক্তি।"
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে মামলার বিচার শুরু হয়েছিল। চার্জশিট দাখিলের মাত্র ৮ মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা হয়। ২৯ জন সাক্ষীর বয়ান শোনা হয়।
এদিন অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ শোনানোর সময় পুনে দায়রা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক বিপি ক্ষীরসাগর জানায়, একজন যৌন আচ্ছন্ন এবং নিষ্ঠুর ব্যক্তির জঘন্য, নৃশংস এবং বর্বর কাজের পরিণতি হিসেবে ৬ বছরের শিশুটির মৃত্যু। তাই আদালত অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজার নির্দেশ দিয়েছে।