এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, আগেই বিপজ্জনক চিহ্নিত করে ভবনটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে কোনও হতাহতের খবর নেই।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 30 June 2025 09:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানা বর্ষণ। আর তার জেরে ধসে পড়ল একটি পাঁচতলা বহুতল (5 Storey Building)। হিমাচল প্রদেশের শিমলার (Himachal Pradesh, Shimla) ভাট্টাকুফার এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। বাড়ি ভেঙে পড়ার ভিডিও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, আগেই বিপজ্জনক চিহ্নিত করে ভবনটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে কোনও হতাহতের খবর নেই। কিন্তু রাজ্যে বিগত কিছুদিন ধরে আবহাওয়ার যে পরিস্থিতি তাতে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হিমাচলে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২০।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, “বহুতলটি দুর্বল ছিল। ভারী বৃষ্টিতে ভিত নরম হয়ে গেছিল। আগে থেকেই বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। তাই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।”
এই ঘটনার পর আতঙ্কে ভাট্টাকুফার আশপাশের বাসিন্দারা। অভিযোগ, ওই এলাকার একাধিক বাড়ি একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয়দের আশঙ্কা, চার লেনের হাইওয়ে নির্মাণ ঘিরে যে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, তাতেও মাটি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা এলাকা নজরবন্দি করা হয়েছে। বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত সব ভবন খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয়দের অস্থায়ী শিবিরে স্থানান্তরিত করা হবে।
পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির দাপটে ধস নতুন নয়। কিন্তু সম্প্রতি যেভাবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মাণকাজ বেড়েছে, তাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি আরও বেড়েছে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ি শহর শিমলায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। ইতিমধ্যে নানা জায়গায় ধস নামার খবর মিলেছে। তার মধ্যেই ভাট্টাকুফারে ওই পাঁচতলা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি এও খবর, ধসের কারণে অন্তত ১২৯টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে।