Advertisement
প্রতীকী ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 April 2025 12:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাক জঙ্গি হানার পরপর নির্মিত একের পর এক উগ্র দেশাত্মবোধক সিনেমার গল্পের ইনার স্টোরির দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্রের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও সবার অলক্ষ্যে সামরিক পদক্ষেপ। পহলগামে জঙ্গিহানার পর নয়াদিল্লির শশব্যস্ততা প্রমাণ করে দিয়েছে, পাকিস্তানি চক্রান্তের মুখে দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সূত্র বোকা বনে গিয়েছে। এখন জরুরি কিছু বৈঠক, জলচুক্তি নিয়ে ভয় দেখানো, কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার মতো কিছু প্রাথমিক বদলার পথে হাঁটলেও ভারতের মূল টার্গেট পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা।
পহলগামের ঘটনার পরপরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় ৪২-৪৫টি জঙ্গি তালিম শিবির ও ঘাঁটিকে নির্দিষ্ট করে ফেলেছে দেশের সেনা গোয়েন্দা বিভাগ ও র। যেখানে সক্রিয়ভাবে চলে ভারত বিরোধী মগজ ধোলাই দিয়ে ফিদায়েঁ এবং সামরিক প্রশিক্ষিত জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতীয় গোয়েন্দারা এগুলির উপর খুঁটিনাটি নজর রেখে চলেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে সবিস্তারে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও সেনানায়করা। পহলগাম কাণ্ডের পর সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করাও হয়েছে। দেশ এখন যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এইসব ঘাঁটিগুলিতে আনুমানিক ১৫০-২০০ তালিমপ্রাপ্ত জঙ্গি রয়েছে। তারাও মওকা বুঝে সীমান্ত পেরনোর ওঁত পেতে রয়েছে। জঙ্গি ঢোকানোর কাজে সরাসরি মদত দিয়ে থাকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মুজাহিদ ব্যাটেলিয়ন ছাড়াও হিজবুল মুজাহিদিন, জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তোইবার প্রায় জনা ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি এখনও সক্রিয় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। তার মধ্যে ৭০-৭৫ পাকিস্তানি রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায় এবং ৬০-৬৫ জন রয়েছে জম্মু, রাজৌরি ও পুঞ্চ সেক্টরে।
Advertisement
Advertisement