Date : 14th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
মঙ্গলবার পৃথিবীতে ফিরছেন শুভাংশুরা, শুরু প্রস্তুতি, অধীর অপেক্ষায় দেশবাসীবড় রান না পেয়েও করুণ নায়ার দলে টিকে আছেন কী করে? আড়ালে ফুটবলের ‘ফলস থ্রি’র তত্ত্বইয়েমেনে কেরলের নার্সের জীবন রক্ষায় তৎপর হতে মোদীকে চিঠি বিজয়নের, আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানিপিএসজিকে ল্যাজে খেলিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ চেলসির, ছেঁদো স্ক্রিপ্ট ছিঁড়ে ইতিহাস লিখলেন পালমারWeather: নিম্নচাপের দাপট শুরু বঙ্গে, টানা বৃষ্টি আগামী কয়েকদিন, ভাসবে উত্তর থেকে দক্ষিণমুজিবের মাজার রক্ষায় তৈরি হাসিনার কমান্ডো বাহিনী, বুধবার বড় অশান্তির আশঙ্কা বাংলাদেশে'কথা ভালভাবে বলছে, রাতে বোমা মারছে!' পুতিনকে কটাক্ষ ট্রাম্পের, কিভে পাঠাচ্ছেন প্যাট্রিয়ট মিসাইলমোদী-মমতাকে আম পাঠাচ্ছেন ইউনুস, দিল্লির ‘দিল’ জয়ের চেষ্টা, চর্চা সমাজমাধ্যমেআলাদা হচ্ছেন সাইনা-কশ্যপ, ইনস্টাগ্রামে জানালেন সিদ্ধান্তের কথাWimbledon: ফরাসী ওপেনের মধুর প্রতিশোধ, আলকারাজকে হারিয়ে উইম্বলডন জিতে ইতিহাস গড়লেন সিনার
40% of India’s Wealth Held by the Rich: Inequality Worse Than British Era, Says Analyst

ধনীদের হাতেই ৪০% সম্পদ! ব্রিটিশ আমলের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা দেশের

এই চরম বৈষম্যের দায় অর্থনৈতিক বিশ্লেষক দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে।

ধনীদের হাতেই ৪০% সম্পদ! ব্রিটিশ আমলের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা দেশের

এআই ছবি (সংগৃহীত)

শেষ আপডেট: 3 July 2025 13:25

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এই পার্থক্য এখন এতটাই স্পষ্ট যে, এক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, ব্রিটিশ শাসনকালে দেশের পরিস্থিতি যেমন ছিল, এটা তার চেয়েও ভয়াবহ। লিঙ্কডইনে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে বিশ্লেষক হার্দিক জোশি বলেন, 'ভারতে বর্তমানে আয় ও সম্পদের বৈষম্য ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।'

জোশি লিখছেন, 'ভারতের শীর্ষ ১% মানুষের হাতে রয়েছে দেশের মোট ৪০.১% সম্পদ। অন্যদিকে, দেশের ৫০% মানুষের হাতে রয়েছে মাত্র ৬.৪% সম্পদ। আর শীর্ষ ১০% মানুষ দেশের মোট আয় থেকে ৫৭.৭% আয় করেন।' এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে নেটপাড়া।

এই বিশ্লেষকের বক্তব্য, সংখ্যাগুলো নিছক পরিসংখ্যান নয়। এর মানে, দেশের অর্ধেক মানুষ দৈনিক জীবনের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন, আর একাংশ এলিট শ্রেণি বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত।'

এই চরম বৈষম্যের দায় জোশি দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই ব্যবস্থাই ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে। কর কাঠামো ধনীদের সুবিধা দেয়। শ্রমিকদের কোনও সুরক্ষা নেই, কর্পোরেটের একচেটিয়া আধিপত্যে পিষ্ট হচ্ছে ছোট ব্যবসা, রিয়েল এস্টেট আর শেয়ার বাজার থেকে যে মুনাফা হয় তা শুধু ধনীদেরই পকেটে যায়। উপরন্তু, রাজনৈতিক চাঁদা ও লবিংয়ের মাধ্যমে ধনীরা নিশ্চিত করেন, যে কোনও সংস্কার তাঁদের স্বার্থে আঘাত না করে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য ধনীদের ক্ষতি করে না বলে মনে করেন তিনি। তাই তাদের এতে কোনও যায় আসে না। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ থেকে অন্যান্য সবকিছু আদতে বড়লোক মানুষজনই নিয়ন্ত্রণ করেন। গরিবদের জন্য নীতি আনলে তাকে ‘ভিক্ষে’ বলে প্রচার করে। অথচ নিজেরা হাজার হাজার কোটি টাকার কর ছাড়, ভর্তুকি নেন।

তাহলে এই বৈষম্য দূর করতে হলে কী করা জরুরি?

জোশির মতে, 'ধনীদের উপযুক্ত হারে কর চাপানো, শ্রমিকদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট মনোপলি ভেঙে দেওয়ার মতো সংস্কার ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়।' সবশেষে তাঁর প্রশ্ন, 'এই সিস্টেম কাদের জন্য? সাধারণ মানুষের জন্য, না গুটিকয়েক ধনী পরিবারের স্বার্থরক্ষার জন্য?' 


ভিডিও স্টোরি