শেষ আপডেট: 17th July 2024 13:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের বিপর্যয়ের পর থেকেই বিদ্রোহের মেঘ ধীরে ধীরে দানা বাঁধছিল। কিছুদিন পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোট আসছে। তাই তার আগেই ফের শিবির বদলের ঝোঁক আরব সাগর তিরে। অজিত পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি জার্সি বদলের রাজনীতিতে নতুন করে ধাক্কা খেল। অজিত পাওয়ারকে ছেড়ে চার শীর্ষ নেতা দলত্যাগ করলেন।
মহারাষ্ট্রের পিম্পরি ছিন্চওয়াড়ের চার পদস্থ নেতার একযোগে ইস্তফায় যথেষ্ট ধাক্কা খেলেন অজিত পাওয়ার। পদত্যাগকারী নেতার অবিলম্বে মূল দল বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ারের শিবিরে ভিড়তে চলেছেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। লোকসভা ভোটে শিন্ডে সেনা-বিজেপি-অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ব্যাপক ধসের মুখে পড়ে। রাজ্য বিধান পরিষদ নির্বাচনে এই জোট জিতলেও নেতৃত্বের মধ্যে নানান বিষয়ে ক্ষোভ ছিল। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।
পিম্পরি ছিন্চওয়াড় ইউনিটের প্রধান অজিত গাওহানে সহ আরও মোট চারজন শীর্ষস্তরীয় নেতা অজিত পাওয়ারের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। অন্যরা হলেন, ওই অঞ্চলের ছাত্র সংগঠন নেতা যশ সানে, প্রাক্তন এক কাউন্সিলার রাহুল ভোঁসলে ও পঙ্কজ ভালেকর। এঁরা প্রত্যেকেই শরদ পাওয়ারের কাছে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, শরদ পাওয়ার গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, যাঁরা দলকে দুঃসময়ে ফেলে আখের গোছাতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের কাউকে ফেরত নেওয়া হবে না। তবে যাঁরা দলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট না করে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে নিতে পারেন।
ইস্তফা নিয়ে আজ, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই চার নেতা তাঁদের অবস্থান জানাবেন। গাওহানে বলেন, আপনারা জানেন আমরা কোন দলে যোগ দেব, তাই এখনই খোলসা করে কিছু বলছি না। তখনই যা বলার বলব। অনেকেরই ধারণা, ভোসারি বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট না পাওয়াই তাঁর দলত্যাগের মূল কারণ।
সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই তিনি অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে ভোসারি আসনের দাবি জানান। কিন্তু জোটধর্ম বজায় রাখতে গেলে ওই আসনে দুবার জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী। সেই অর্থে পদ্ম শিবিরই ওই কেন্দ্রের যোগ্য হকদার। ফলে গাওহানির দাবি ধোপে টেকেনি। তারপরেই তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।