ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 22nd August 2024 20:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হাসপাতালে এক একজন চিকিৎসককে টানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়! অথচ কর্মস্থলে তাঁদের সুরক্ষার হাল কেমন, আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষা-সহ বিভিন্ন প্রশ্নে ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে গঠিত হয়েছে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। বৃহস্পতিবার আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের সুরক্ষার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের টানা ডিউটি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স বা এনটিএফের উদ্দেশে দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, টানা ৩৬-৪৮ ঘণ্টা ডিউটি অত্যন্ত অমানবিক।
এ ব্যাপারে সমস্যার সমাধানে এনটিএফকে একটি পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেখানে আবাসিক ডাক্তার এবং চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্ত প্রতিনিধিরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। তারপরই কেন্দ্রীয় পরিবার কল্যাণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে এব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট নিয়ম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের নিকটবর্তী থানার সঙ্গে চিকিৎসকদের, বিশেষত মহিলা চিকিৎসদের সরাসরি যোগাযোগের কোনও নম্বর রাখা, অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা সহ বেশ কয়েকটি বিষয় এনটিএফকে খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত।
গত ৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। নৃশংস ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলিত সমাজ। ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং কর্মস্থলে সুরক্ষার প্রশ্নে দেশজুড়ে কর্মবিরতিতে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের সঙ্গে সামিল হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনও।
এদিন এ ব্যাপারে অবিলম্বে ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে আদালত বলে, ডাক্তারি ধর্মে জনস্বাস্থ্য পরিষেবাকে কোনওভাবেই অচল করে দেওয়া মানায় না। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারেও শীর্ষ আদালত ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল।
যার প্রেক্ষাপটে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী তানভি দুবে আদালতে বলেন, চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে প্রস্তুত কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে তাঁরা আতঙ্কিত বোধ করছেন। এরপরই এ ব্যাপারে এনটিএফকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ সেপ্টেম্বর।
এদিন আদালত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবকে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই বৈঠকের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্মঘটী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যাতে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেয়, সে ব্যাপারেও আহ্বান জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।