শেষ আপডেট: 1st August 2024 17:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবারের বর্ষাকাল যেন অন্য রূপ দেখাচ্ছে। উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ, দেশের একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু জায়গায় ধস, ভাঙনের কারণে কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। একাধিক মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। সবথেকে বেশি খারাপ অবস্থা উত্তর ভারতের। সেখানের ৭ রাজ্য মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
কেরলের ওয়ানাড়ের কী অবস্থা হয়েছে তা সকলের জানা। দেশজুড়ে বন্যা পরিস্থিতিতে জট মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সেখানেরই। এবার জানা গেল, বুধবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্তত ৭ রাজ্য মিলিয়ে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, দিল্লিতে ৫ জনের, হিমাচল প্রদেশে ৪ জনের। এছাড়া মৃত্যুর খবর এসেছে হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহার থেকেও।
গোটা দেশের নিরিখে এখনও পর্যন্ত এই কারণে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের ২৫৬ জন কেরলের ওয়ানাড়ের। তবে এই সংখ্যাটা যে আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। কারণ, বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। আগামী দিনে যে বিপদ আরও বাড়বে সেই আশঙ্কাও করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে দিল্লি-এনসিআরে বুধবার যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা বিগত ১৪ বছরের একদিনের বৃষ্টির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
শুধুমাত্র ওয়ানাড়ে জলের তোড়ে ও ধসে জখমের সংখ্যা ২০০। আরও আড়াইশো মানুষ এখনও নিখোঁজ। মুন্ডাক্কাই এবং চুরামালায় নিখোঁজদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। যদিও নিখোঁজদের উদ্ধার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে উদ্ধারকাজ চালানো সেনাবাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে তারা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি চেয়ে পাঠাচ্ছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর-পূর্ব ভারত লাগোয়া রাজ্যের জেলাগুলিতে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হবে। তবে বৃষ্টিপাত যে এখনই কমে যাবে তার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। একটি অক্ষরেখা বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত থেকে উত্তর-পূর্ব বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত।