শেষ আপডেট: 2nd September 2024 10:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশে মানুষখেকো নেকড়ের তাণ্ডবে প্রাণ ওষ্ঠাগত স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত দু'মাস ধরে একাধিকজন নেকড়ের হামলার গুরুতর আহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শিশুরাও আছে। এবার ৩ বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে নেকড়ের হামলায়। এই ঘটনায় আহত আরও দুই মহিলা।
উত্তরপ্রদেশের বাহারআইচ জেলার মানুষ এখন বাড়ি থেকে যেন বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ এখনও পর্যন্ত নেকড়ের তাণ্ডবে জখম হয়েছেন ২৫ জনের বেশি। তার সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি টেপরা গ্রামে প্রায় ৬ দিন পর নতুন করে নেকড়ের হামলা হয়। তাতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাহারআইচের জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রতিবার একটি নতুন গ্রাম থেকে এই হামলার খবর আসছে। বনদফতর পুরোপুরি চেষ্টা করছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
সাত শিশু সহ এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বাহারআইচের বাসিন্দাদের। উত্তরপ্রদেশ বন দফতর বলছে, মোট ৬টি নেকড়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। যাদের ধরতে ইতিমধ্যেই ২২টি দল গড়া হয়েছে। সেই দলে আছেন নিশানায় দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ড্রোন, নাইট ভিশন্স-সহ নানা আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে নজর রাখা হচ্ছে নেকড়েদের ওপর।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৪টি নেকড়েকে পাকড়াও করা গেছে। তবে পালে রয়েছে আরও দু'টি। কবে এই মানুষখেকোদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে, বুঝে উঠতে পারছেন না আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তার মধ্যে আবার হামলা এবং মৃত্যুর খবর কার্যত তাঁদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। গত শনিবার থেকে আবার ওই দুটি নেকড়েকে দেখা গেছে। কিন্তু ফাঁদ পেতেও এখনও তাদের ধরতে পারেনি বনদফতর।
যদিও মোদী সরকারের একদা ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ এর প্রধান তথা বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা মনে করছেন, এই কাজ সম্ভবত নেকড়েদের নয়। তাঁর মতে নেকড়ে লাজুক প্রকৃতির প্রাণী। মানুষকে আক্রমণের ঘটনাও কম। তিনি আশঙ্কা করছেন, অতীতে কাটার্নিয়াঘাট লাগোয়া জঙ্গলে বাঘ এবং চিতাবাঘের হামলায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনার অনেক নজির আছে। এই কাজ তাদেরও হতে পারে।