শেষ আপডেট: 6th March 2025 16:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের পিছিয়ে গেল মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া। তিন সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রত্যর্পণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এরই মধ্যে রানা মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট জরুরি স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছেন, যা প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলল।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথভাবে প্রত্যর্পণের কাজ করছিল। তবে মার্কিন প্রশাসন তাকে ফেরানোর কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেনি।
২১ জানুয়ারি, ২০২৫ – মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার আবেদন খারিজ করে। একই দিনে নবনিযুক্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের একদিন আগে রুবিও রানার প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেন।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – মোদি ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছন।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – রানার আইনজীবীরা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথি ও মেডিক্যাল সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য চান, কিন্তু সরকার তা দিতে অস্বীকার করে।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – রানা সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয়বার হেবিয়াস করপাস আবেদন ও জরুরি স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। একই দিনে মোদি-ট্রাম্প যৌথ বিবৃতি দিয়ে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ঘোষণা করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – মার্কিন জেলা আদালত রানার আবেদন খারিজ করে, প্রত্যর্পণের পথ সুগম হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – নবম সার্কিট আদালত রানার আবেদন খারিজ করে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – মার্কিন সরকার জানায়, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে কিছু সময়ের জন্য প্রত্যর্পণ স্থগিত থাকবে।
৫ মার্চ, ২০২৫ – মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার জরুরি আবেদনের নথি গ্রহণ করে, শুনানির তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।
রানা যুক্তরাষ্ট্রের নবম সার্কিট আদালত ও জেলা আদালতে বারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রত্যর্পণ আটকাতে কার্যত ব্যর্থ হন। এখন শেষ চেষ্টা চালিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, ভারতে ফেরালে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হতে পারে, যা তিনি সুপ্রিম কোর্টেও জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভারতের বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া কত দ্রুত সম্পন্ন হয়।