শেষ আপডেট: 24th July 2024 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাগাড়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার কারণে আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে জম্মু-কাশ্মীর। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে একাধিক সেনা জওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক জওয়ান শহিদ হলেন, গুরুতর জখম অন্য একজনও। তবে এক জঙ্গিকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা।
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সীমান্তের কাছে এক জওয়ান শহিদ হন। এরপরই ওই এলাকা সহ কুপওয়ারার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের ফলেই গত ২৪ ঘণ্টায় ২টি এনকাউন্টার হয়েছে তাতে এক জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এক জওয়ান যেমন শহিদ হয়েছেন, অন্য একজনের প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।
কুপওয়ারায় একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে জানতে পারে সেনাবাহিনী। তারপরই তারা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে মিলিতভাবে অপারেশন চালায়। এই অভিযানের প্রেক্ষিতেই বুধবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুপওয়ারা এলাকা। গুলির লড়াই চলে জঙ্গি এবং সেনার মধ্যে।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল ভূ-স্বর্গের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। জঙ্গি হামলার ঘটনাও কমবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার উল্টো চিত্রই ধরা পড়েছে। এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে এও দাবি করা হয়েছে, শেষ ৩২ মাসে ৪৮ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন উপত্যকায়। ভূ-স্বর্গের পরিস্থিতি নিয়ে কাটাছেঁড়া করতেই একটা নাম আবার উঠে আসছে। সে হল মাসুদ আজহার, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান। বহুদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও তার কোনও পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমানে যখন জম্মু-কাশ্মীরে পরপর হামলার ঘটনা ঘটছে, অনেকেই মনে করছেন তার পিছনে রয়েছে এই জঙ্গি নেতাই।
জম্মু-কাশ্মীরে বর্তমানে ৫০-৫৫ জন পাকিস্তানি জঙ্গি জম্মুতে ঘাঁটি গেড়েছে বলে সন্দেহ। তাদের উপদ্রব বন্ধ করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে জম্মুতে একটি ব্রিগেড সদর কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে ৩ হাজার জওয়ানের একটি ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড (যারা সম্মুখযুদ্ধে প্রশিক্ষিত) এবং স্পেশাল ফোর্সের প্রায় শপাঁচেক জওয়ান।এছাড়া ৫০০ প্যারা স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো নামানো হয়েছে।