শেষ আপডেট: 16th March 2025 19:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বাজেয়াপ্ত ৩৭ কেজি মাদক। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন তাঁরা বিমানবন্দরে সিকিওরিটি চেকিংয়ের সময় নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে পড়ে বিষয়টি। তল্লাশি চালিয়ে ওই মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়। কর্নাটকে এই প্রথম এত বড় অঙ্কের মাদক উদ্ধার হল বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩১ বছর বয়সি বাম্বা ফান্তা এবং ৩০ বছরের অবিগেইল অ্যাদোনিস নামে দুই মহিলার কাছ থেকে এমডিএমএ (MDMA) পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, তাঁরা দিল্লিতে বসবাস করতেন। গোটা দেশে মাদকের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ফ্লাইটে করেই মাদক সরবরাহ করা হত। গত এক বছরের রেকর্ড বলছে, তাঁরা ৩৭ বার মুম্বই এবং ২২ বার বেঙ্গালুরুতে যাতায়াত করেছেন। মাদক পাচারের জন্যই যে এতবার দেশের দুই প্রান্তে যাতায়াত, তা বলাই বাহুল্য।
কীভাবে গোটা ঘটনা পুলিশে নাগালে এল?
এই মাদক চক্রের তদন্ত শুরু হয় ছ'মাস আগে। মাঙ্গালুরুতে হায়দার আলি নামে এক ব্যক্তিকে ১৫ গ্রাম এমডিএমএ-সহ গ্রেফতার করা হয় সেসময়। পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে নাইজেরিয়ান নাগরিক পিটারের নাম, যাকে বেঙ্গালুরুতে ৬ কেজি এমডিএমএ-সহ গ্রেফতার করা হয়। এরপরই তদন্তকারীরা বড় মাদক নেটওয়ার্কের সন্ধান পান এবং এই দুই নাইজেরিয়ান মহিলার ওপর নজরদারি শুরু হয়।
গ্রেফতার হওয়া দুই মহিলার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট এবং নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, ফান্তা ২০২০ সালে ব্যবসার উদ্দেশে ভারতে আসেন এবং অ্যাদোনিস ২০১৬ সাল থেকে এখানে রয়েছেন।
মাদক পাচারের এই বিশাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, এই চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক কারবারীদের যোগ থাকতে পারে। কর্নাটক পুলিশের বিশেষ টিম এখন সেই চক্রেরই শিকড় উপড়ে ফেলার চেষ্টা করছে।