শেষ আপডেট: 3rd December 2024 13:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর দেশে বাঘের মৃত্যুর হার বেড়েছে অনেকটাই। মঙ্গলবার সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা বেশ উদ্বেগজনক। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে ভারতে বাঘের মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সারা ভারত জুড়ে ১২১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮২! মূলত পাঁচ রাজ্যেই বাঘেদের মৃত্যু সবথেকে বেশি হয়েছে। সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু এবং কেরল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত কয়েক বছরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এই রাজ্যগুলিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল। তারপরও কেন এই মৃত্যুর হার বাড়ল তা বোধগম্য হচ্ছে না।
পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে যত বাঘের মৃত্যু হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই এই রাজ্যগুলি থেকে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৪৬টি, মধ্যপ্রদেশে ৪৩টি, উত্তরাখণ্ডে ২১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে এই সংক্রান্ত বরাদ্দ ৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আগে যা ছিল ৩,৯৫৬ লক্ষ এখন সেটাই হয়েছে ৪,৩০৩ লক্ষ টাকা। সবথেকে বেশি বরাদ্দ বেড়েছে মধ্যপ্রদেশে, ৮০৯ লক্ষ থেকে ২,৬১৪ লক্ষ অর্থাৎ প্রায় ২২৩ শতাংশ!
সরকারি তথ্য আরও বলছে, তামিলনাড়ু এবং উত্তরাখণ্ডে যথাক্রমে ৪০০ শতাংশ এবং ২৫০ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়েছে বাঘদের। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত বাঘের মৃত্যু হচ্ছে কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঘেদের মৃত্যুর সবথেকে বড় কারণ শিকার, যা কোনও ভাবে আটকানো যাচ্ছে না। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অসুস্থতার কারণে বাঘেদের মৃত্যু হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৬ থেকে ২০২২ সালে পর্যন্ত ভারতে সার্বিকভাবে বাঘেদের সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত হারে বেড়েছে। শেষবার করা সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতে বাঘ রয়েছে ৩,৬৮২।