সেদিন ক্লাসরুমে বিবেক কতটা লজ্জিত হয়েছিল এবং অপমান বোধ করেছিল, তা বোঝা যায় তার লেখা সুইসাইড নোট (Suicide Note) থেকে। সেখানে বিবেক লিখেছে, 'আমি গলায় ফাঁস দিচ্ছি কারণ সূর্যবংশী স্যার আমাকে বকেছেন আর আমার বাবা-মায়ের কথা বলেছেন।'
মহারাষ্ট্রে আত্মঘাতী ১৫ বছরের ছেলে
শেষ আপডেট: 2 July 2025 10:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্লাসরুমে সবার সামনে শিক্ষকের বকুনি। হাসতে শুরু করে সহপাঠীরা। বাবা-মাকে নালিশ করার কথাও বলেন শিক্ষক। এরপরই অপমানে আত্মঘাতী ১৫ বছরের (15 Year Old boy died by suicide) কিশোর। মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া এলাকায়। পড়ুয়ার ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জয় বজরং বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল বিবেক। ঘটনার দিন স্কুলে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক (Teacher) বিবেককে কিছু প্রশ্ন করেন। কিন্তু সে উত্তর দিতে না পারায় শিক্ষক তাঁকে বকা দেন, চিৎকার করেন। বলেন, 'তোমার বাবা-মাকে ডেকে বলব তুমি পড়াশোনা করছ না।' এই কথা শুনে বিবেক খুব লজ্জিত হয়ে পড়ে। সহপাঠী বন্ধুরাও (Classmates) হাসাহাসি শুরু করলে অপমানে ভেঙে পড়ে সে।
পরিবার সূত্রে খবর, ওইদিন স্কুল থেকে ফেরার পর কারও সঙ্গে কথা বলেনি বিবেক। একা একা মনমরা হয়ে ঘরেই ছিল। এমনকী বন্ধুরা ডাকতে এলে তাঁদের সঙ্গে খেলতে যায়নি নাবালক। খাবারও ঠিকমতো খায়নি। তার কিছু সময় পরই বিবেকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর দেওয়া পুলিশে। ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়।
সেদিন ক্লাসরুমে বিবেক কতটা লজ্জিত হয়েছিল এবং অপমান বোধ করেছিল, তা বোঝা যায় তার লেখা সুইসাইড নোট (Suicide Note) থেকে। সেখানে বিবেক লিখেছে, 'আমি গলায় ফাঁস দিচ্ছি কারণ সূর্যবংশী স্যার আমাকে বকেছেন আর আমার বাবা-মায়ের কথা বলেছেন।'
এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রেগে গিয়ে স্থানীয়রা স্কুলে গিয়ে ওই শিক্ষককে মারধর করেন। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বিবেকের পরিবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।