রাজার দাদার অভিযোগ, 'কেবল মঙ্গল দোষ কাটাতেই সোনম ও তাঁর পরিবার ভাইকে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আগে থেকেই জানত সোনম অন্য কাউকে ভালবাসে। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না পরিবার কারণ রাজা ছিল সোনমের বাবার কারখানার একজন সাধারণ কর্মচারী।'
গ্রাফিক-দ্য ওয়াল
শেষ আপডেট: 12 June 2025 07:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেমিক রাজা কুশওয়াহাকে বিয়ের পথে বাধা ছিল 'মঙ্গল'! সেই দোষ (Mangal Dosh) কাটাতেই রাজা রঘুবংশীকে (Raja Raghubanshi Murder Case) বিয়ে করেছিলেন সোনম। চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নিহত রাজার দাদা সচিন রঘুবংশী।
এক সংবাদমাধ্যমের সামনে সচিন বলেন, 'সোনমের (Sonam Raghubanshi) কুষ্ঠিতে মঙ্গল দোষ ছিল। এই কারণে তাঁর পরিবার এমন একজনকে খুঁজছিলেন যার কুষ্ঠিতেও মঙ্গল দোষ আছে। সেই সূত্র ধরেই রাজার কাছে বিয়ের প্রস্তাব গিয়েছিল। সেইসময়েও সোনমের পরিবার জানতেন যে তাঁদের বাড়ির মেয়ে রাজ কুশওয়াহা নামের যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন।
রাজার দাদার অভিযোগ, 'কেবল মঙ্গল দোষ কাটাতেই সোনম ও তাঁর পরিবার ভাইকে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আগে থেকেই জানত সোনম অন্য কাউকে ভালবাসে। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না পরিবার কারণ রাজা ছিল সোনমের বাবার কারখানার একজন সাধারণ কর্মচারী।'
এখানেই শেষ নয়। সোনমের (Sonam Raghubanshi) বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন সচিন। তিনি বলেন, "বিয়ের আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল, সে রাজাকে মেরে ফেলবে। এই ষড়যন্ত্রে তার মা-ও জড়িত ছিল বলে আমাদের ধারণা। পুলিশকে অনুরোধ করব সোনমের মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।"
রাজা ও সোনমের বিয়ে হয়েছিল গত ১১ মে। ২০ মে, তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তিন দিন ঘোরার পর, দুজনেই 'নিখোঁজ' হয়ে যান। বারবার যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২ জুন মেঘালয়ের একটি খাদ থেকে রাজা রঘুবংশীর ক্ষতবিক্ষত দেহ (Raja Raghubanshi Murder Case) উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয় (সম্ভাব্য খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র)। ময়নাতদন্তে জানা যায়, রাজার মাথার পেছনে ও সামনের দিকে দুটি আঘাতের চিহ্ন ছিল।
রাজার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। তারপর শুরু হয় সোনমের খোঁজ। অবশেষে গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ধাবায় সোনমকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য গাজিপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই আত্মসমর্পণ করেন সোনম।
রাজাকে খুন করতে তিনজন 'সুপারি কিলার'কে ভাড়া করেছিলেন সোনম। রাজা কুশওয়াহা-সহ সেই তিনজন অর্থাৎ আকাশ রাজপুত (১৯), বিশাল সিং চৌহান (২২), এবং আনন্দ কুর্মিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কী এই মঙ্গল দোষ?
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যাদের জন্মকালে মঙ্গল গ্রহ সপ্তম, অষ্টম, চতুর্থ বা দ্বাদশ ঘরে থাকে, তাদের কুণ্ডলীতে মঙ্গল দোষ থাকে। অনেকের বিশ্বাস, এই দোষ থাকলে বিবাহিত জীবনে অশান্তি, এমনকি সঙ্গীর মৃত্যুও ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণত সমমাঙ্গলিক বিয়ে দেওয়া হয়, অর্থাৎ দুজনের কুষ্ঠিতেই দোষ থাকলে সমস্যা কাটে বলে ধরা হয়।