শেষ আপডেট: 4 February 2024 09:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীর্ঘ আইনি লড়়াইয়ের পর অযোধ্যায় তৈরি হয়েছে রামমন্দির। সম্প্রতি সেখানে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয়েছে। এবার সামনে এল মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির জমি বিতর্কের প্রসঙ্গও।
মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি এবং পাশে থাকা মসজিদকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দুপক্ষের দাবি, অযোধ্যার মতো মথুরাতেও মোঘল আমলে তৎকালীন সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়েছিলেন। এ নিয়ে আদালতে গড়িয়েছে মামলাও। তথ্য জানার আইনে এ ব্যাপারে সঠিক বিষয়টি জানতে চেয়ে আগ্রার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন মইনপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ সিং।
সূত্রের খবর, অজয়বাবুকে তথ্য জানার অধিকার আইনে জবাবী চিঠিতে আগ্রার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ জানিয়েছে, মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দির ভেঙে সেখানে মসজিদ তৈরি করেছিলেন।
এ বিষয়ে কীভাবে তাঁর নিশ্চিত হচ্ছেন? প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের ব্যাখ্যা, ১৯২০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার একটি গেজেট প্রকাশ করেছিল। তাতেই মন্দিরের বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি ন্যাস-এর সভাপতি তথা আইনজীবী মহেন্দ্র প্রতাপ বলেছেন, ব্রিটিশ আমলে এলাহাবাদের তৎকালীন পূর্ত দফতরের বিল্ডিং এবং সড়ক বিভাগ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৯টি স্মৃতিস্তম্ভের একটি তালিকা তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত গেজেটে তার উল্লেখও রয়েছে। এই তালিকায় কাটরা কেশব দেব ভূমির শ্রী কৃষ্ণ ভূমি ৩৭ নম্বরে রয়েছে।
আইনজীবী প্রতাপ বলেন, "ব্রিটিশ আমলের ওই রেকর্ড আমরা প্রমাণ হিসেবে আদালতে দাখিল করল। সেখানে লেখা আছে, আগে কাটরা টিলায় কেশব দেবের মন্দির ছিল। এটি ভেঙে ফেলা হয় এবং জায়গাটি মসজিদের জন্য ব্যবহার করা হয়।"
শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত কীভাবে?
হিন্দুপক্ষের দাবি, মথুরার বিরোধও কিছুটা অযোধ্যার মতোই। ঔরঙ্গজেব মথুরার মন্দির ভেঙে সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। ১৬৭০ সালে মথুরায় ভগবা কেশবদেবের মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। তারপর সেখানে শাহী ইদগাহ মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। মথুরায় মোট ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানার অধিকারের নিয়েই দু’পক্ষের বিরোধ।
হিন্দুপক্ষের দাবি, মথুরার শ্রীকৃষ্ণভূমির আড়াই একর জমিতে মসজিদ তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। অবিলম্বে ঔরঙ্গজেবের তৈরি ওই কাঠামোকে বেআইনি ঘোষণা করে জমি ফেরৎ দিতে হবে। এ ব্যাপারে মুসলিম পক্ষের প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়েছে মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে।