শেষ আপডেট: 4th May 2018 06:49
গুরগাঁও: সুন্দরীদের ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। কিংবা ফলো করা ইনস্টাগ্রামে। তা থেকেই জালিয়াতির ফাঁদ পাতত আকাশ চৌধুরী। সেই সব মহিলার ছবি দিয়ে তৈরি করত জাল প্রোফাইল। তার পর ওই ছবি দেখিয়ে বলত, তাকে ই ওয়ালেট মারফৎ একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিলে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবে। এইভাবে তার ব্যবসা জমে উঠেছিল ভালোই। এক মহিলার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনৈক ব্যবসায়ীর থেকে আদায় করেছিল ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একইসঙ্গে সুন্দরীদের ভুয়ো প্রোফাইল ব্যবহার করে সে জুতো, ঘড়ি, সানগ্লাস এমনকী ক্যাব সার্ভিসের ব্যবসাও চালাত। বিভিন্ন পণ্য বিক্রির জন্য তার সঙ্গে চুক্তি করেছিল পাঁচ-সাতটি কোম্পানি। বছর দশেক আগে বিহার থেকে সপরিবারে গুরগাঁওতে এসেছিল আকাশ। প্রথমে সে কাজ করত কল সেন্টারে। পরে জাল প্রোফাইল খুলে ব্যবসা শুরু করে। এখন তার বয়স ৩৪। গতবছর দিল্লির লাজপত নগরের এক মহিলা লক্ষ করেন, তাঁর নামে জাল প্রোফাইল খুলে কোনও প্রোডাক্টের প্রমোশন চলছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ছবি সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু ছবি না সরিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো হয়, এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানালে তাঁর নাম এসকর্ট সার্ভিসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। ওই মহিলা তখনকার মতো চুপ করে যান। কিন্তু পরে সাহস সঞ্চয় করে অভিযোগ জানান পুলিশে। সেইমতো তদন্ত করতে করতে পুলিশ পৌঁছে যায় গুরগাওঁতে। সেখানে দেখা যায় আকাশ ও তার বাবা এক মাংসের দোকান খুলে বসেছে। প্রথমে সে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পুলিশ তার মোবাইলে, ল্যাপটপ ও ব্যাংক আকাউন্ট ঘেঁটে পেয়ে যায় প্রমাণ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।